ন্যাভিগেশন মেনু

বিজ্ঞানী ফখরিযাদে হত্যায় ‘নতুন ইলেকট্রনিক পদ্ধতি’ ব্যবহৃত হয়েছিল


ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদের হত্যার পেছনে যারা ছিলো, তারা দূর নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করেছিল এবং ঘটনাস্থলে কেউ উপস্থিত ছিল না বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সচিব আলি শামখানি।

ইরানের এই নিরাপত্তা প্রধান বলছেন, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেকে হত্যার এই পরিকল্পনা সম্পর্কে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানলেও তারা তা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

আলি শামখানি বলেন, ফখরিযাদের ওপর ঠিক কোন জায়গায় আক্রমণ চালানো হবে তাও তারা জানতেন, কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডে ঘাতকরা একেবারে নতুন, পেশাদার এবং ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, তাই তা ঠেকানো যায়নি। খবর বিবিসি বাংলা

ইরান এর আগে বলেছিল, তেহরানের কাছে আবসার্দ শহরে একদল আক্রমণকারী মোহসেন ফখরিযাদের গাড়ির ওপর গুলিবর্ষণ করে এবং এরপর দেহরক্ষীদের সাথে তাদের গুলি বিনিময় হয়।

কিন্তু এখন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সংশ্লিষ্ট ফার্স নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, ফখরিযাদেকে একটি দূরনিয়ন্ত্রিত মেশিনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

অ্যাডমিরাল শামখানি বলেন, হামলাকারীদের পরিচিতি সম্পর্কে কিছু সূত্র পাওয়া গেছে। নির্বাসিত ইরানী দল মোজাহেদীন ই খাল্ক-এর সদস্যরা নিশ্চিতভাবে জড়িত বলে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। এছাড়া, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর সংশ্লিষ্টতার কথাও তিনি বলেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) যে আক্রমণে ফখরিযাদে নিহত হয়, তার পেছনে ইসরায়েল জড়িত বলে দাবি করেন ইরানের নেতারা । তবে ইসরায়েল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) তেহরানে মোহসেন ফখরিযাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের জাতীয় পতাকায় মোড়া মৃতদেহ বহন করে সৈন্যরা। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি এক বক্তৃতায় বলেন, এই হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

এডিবি/