ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতের পশ্চিম উপকূলের ২টি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ মিলছে


ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত জওহরলাল নেহেরু ও মুন্দ্রা বন্দরে বাংলাদেশকে প্রবেশাধিকার দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ভারত সরকার। ঢাকা থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দর দুটি বড় জাহাজ ভেড়ানোর উপযোগী।

এরফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে অতিরিক্ত অর্থায়নের প্রয়োজন হবে না। কেননা এরই মধ্যে দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে, তা-ও দু’দেশের জন্য সহায়ক হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের রফতানিপণ্য চট্টগ্রাম থেকে কলম্বো, সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার পোর্ট অব ক্লাং-এ আগে যায়। সেখান থেকে মাদার ভেসেল বা বৃহদাকার জাহাজে পণ্য ওঠানো হয়। সেই পণ্য এরপর কাঙ্খিত গন্তব্যে যায়।

এ পুরো প্রক্রিয়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। বাংলাদেশও মাদার ভেসেল ভেড়ানোর উপযোগী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন করতে চায়। কিন্তু এতে প্রয়োজন প্রচুর অঙ্কের বিনিয়োগ। ভারত সরকার বাংলাদেশকে কলকাতা বন্দরে প্রবেশাধিকার দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশাধিকার চেয়েছিল।

তবে বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি, কেননা বাংলাদেশের সমস্যা কলকাতা বন্দর দিয়ে মিটবে না। নদীবন্দর হওয়ায় কলকাতা বড় জাহাজ ধারণ করতে পারে না। অপরদিকে পূর্ব তীরে ভারতের অন্য বন্দরগুলোও এসবের উপযোগী নয়।

বর্তমানে শ্রীলংকার কলম্বো ও মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরের বিকল্প হিসেবে তিনটি বড় বন্দর নির্মাণ করছে ভারত সরকার। এর মধ্যে রয়েছে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত ৪০০ কোটি ডলারের ভিঝিনজাম বন্দর। এ তিন বন্দর নির্মাণে আরও সময় প্রয়োজন।

তবে এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজেদের পশ্চিম উপকূলের বন্দর সুবিধা ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছে ভারত। আন্তঃপরিবহণের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।


এসএস