ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতের মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে তাউটে’র তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি


ঘূর্ণিঝড় তাউটে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে। ঘণ্টায় ১১৪ কিমি বেগে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে মুম্বইসহ উপকূলের এলাকাগুলি। ঘূর্ণিঝড় তাউটে’‌র দাপটে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৯ জন।

এর আগে সোমবার (১৭ মে) রাতে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র উপকূলে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় তাউটে। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে আরব সাগরের উপকূল এলাকা। দমকা হাওয়ায় উপড়ে পড়েছে একাধিক গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট। ভেঙে গেছে বহু ঘর-বাড়ি, দোকানপাট।

রাতভর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয় একাধিক রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ।

আনন্দওয়াদি পোতাশ্রয়ে ৭ নাবিকসহ দুটি নৌকো ডুবে যাওয়ার খবর জানিয়েছে জি নিউজ। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনায় মহারাষ্ট্রের কোঙ্কনে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

গুজরাটের উপকূলে নীচু জায়গা থেকে সরানো হয় প্রায় ২ লাখ মানুষকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় আহমেদাবাদ, সুরাটসহ একাধিক গুরুত্পূর্ণ শহরের বিমানবন্দর। প্রথমে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পরে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা হয় মুম্বই বিমানবন্দরও।

উদ্ধারকার্যে সবরকম সাহায্যে নামে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। 

ভারতীয় নৌসেনার তিনটি জাহাজ আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি ও আইএনএস তালওয়াড়  নামানো হয় উদ্ধারকার্যে। মুম্বই উপকূলে দুটি বার্জ থেকে ৪১০ জনকে উদ্ধার করেছে তারা।

মঙ্গলবার সকালে দেশটির আবহাওয়া অফিস মৌসম ভবন জানায়, ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউটে। সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘণ্টায় মাত্র ১১ কিমি বেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে শক্তি হারিয়ে সরে গিয়েছে তাউটে।

এডিবি/