ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতের ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার ‘ পেলেন সৈয়দ আবুল হোসেন


বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ভারতের মর্যাদাপূর্ণ ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার-২০১৯’ পেয়েছেন।

এই পুরষ্কার গ্রহণ করে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, এ পুরস্কার শিক্ষাপ্রসার এবং সমাজকে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে নিতে তাঁকে আরো উৎসাহিত করবে।

বিদ্যাসাগর তাঁর স্বপ্নের পুরুষ এবং আদর্শিক মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর নামে প্রবর্তিত ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পাওয়া আমার জন্য গর্বের।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান ও নারী শিক্ষাপ্রসারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সৈয়দ আবুল হোসেনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিদ্যাসাগর পুরস্কার তাঁদেরই দেওয়া হয়- যাঁরা শিক্ষাপ্রসারে কাজ করেছেন এবং যাঁরা নিজ দেশের সেরাটা অর্জনের চেষ্টা করছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী সৈয়দ আবুল হোসেনকে এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী সাইটেশনে বলেন, সৈয়দ আবুল হোসেন-এর একক প্রচেষ্টায় যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।

তিনি বাংলাদেশের শিক্ষাবিস্তারে অনন্য অবদানের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাংলাদেশের বিদ্যাসাগর হিসেবে অভিহিত করেন। সৈয়দ আবুল হোসেন এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ৬টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।  এর মধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। অসংখ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তুলেছেন। প্রায় ১৫০টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন।

এছাড়া আবুল হোসেন  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ায় সহায়তা করেছেন। তার  এলাকা বর্তমানে বাংলাদেশের ‘শিক্ষাঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত।

এ অনুষ্ঠানে ড. হরিপদ মন্ডল, ড. অমিয় কুমার সামন্ত, প্রফেসর চিন্তব্রত পালিত, প্রফেসর নিরসিংহ বাদুরি এবং ড. দিলীপ কুমার সিনহাকেও তাঁদের নিজ নিজ অবদানের জন্য বিদ্যাসাগর পুরস্কারে ভুষিত করা হয়।

এ সময় প্রখ্যাত লেখক ড. সুবোধ সরকার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

এ সময়  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সাধন চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শংকর কুমার ঘোষ, সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর দীপক কুমার কর ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর অনুরাধা মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যাসাগর পুরস্কার দেওয়ায় আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, “আমার এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিল আমার প্রেরণা। আমি নিজস্ব অর্থায়নে আমার এলাকার প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছি। আমার এলাকা বর্তমানে বাংলাদেশের ‘শিক্ষা উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধান শত্রু দারিদ্রতা ও সাম্প্রদায়িকতা। উভয় দেশের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা এ অঞ্চলের দারিদ্র ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্পদূর করতে পারি। তিনি শিক্ষাপ্রসারের মাধ্যমে জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার উদাত্ত আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিদ্যাসাগর রচনাবলী’ দ্বিতীয় খন্ড এবং সৈয়দ আবুল হোসেন কর্তৃক লিখিত ‘বিদ্যাসাগর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

 সৈয়দ আবুল হোসেন ২২টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। একজন লেখক হিসেবে তাঁর ২০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - আজকের বাংলাদেশ পোস্ট

এস এস