ন্যাভিগেশন মেনু

কুষ্টিয়ায় বাঘাযতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরে থানায় ডেকে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ


ফের কুষ্টিয়ায় অঘটন। এবার কুষ্টিয়ায় বিপ্লবী বাঘাযতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। এরআগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছিল। এ কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি নিজামুল হক, অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমান ও আনিসুর রহমানকে ডেকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

রাতে ওই মহাবিদ্যালয়ে খলিলুর রহমান নামের এক নৈশপ্রহরী দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি জোরে একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর কলেজের বাইরে এসে দেখতে পান তিনজন ব্যক্তি দুটি মোটরবাইকে করে সড়কের দুই দিক দিয়ে চলে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত আজ কে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।  

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুষ্কতীরা এ কাণ্ড ঘটায়।বাঘাযতীনের ভাস্কর্যটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামের কয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের পাশে স্থাপিত। এ কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান তদারকিতে গিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী আধিকারীক- ইউএনও রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, ভাস্কর্যের ডান গালে ও নাকের ওপর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ জানান, করোনার কারণে মহাবিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মেবাইলফোনে বলেন, কে বা কারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা বাঘাযতীন। এই কয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাই বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘ হত্যা করেছিলেন বলে তিনি বাঘাযতীন নামে পরিচিত পেয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে গ্রামের মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।

কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছিলেন।কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এস এস