ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতে বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকা ২৫০ রুপি


এবার ভারতে বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকা নিতে গেলে ২৫০ রুপি গুণতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশটির এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনার টিকাদান কার্যক্রমে বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেখানে প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ২৫০ রুপি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা মূল্য যে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ভারতজুড়ে ১০ হাজারের বেশি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অর্থের বিনিময়ে টিকা নিতে পারবে লোকজন।

করোনা দমনে ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি গণটিকাদানের কার্যক্রম শুরু হয়। দেশটিতে দুটি টিকা দেওয়া হচ্ছে। একটি পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’। অন্যটি হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকে তৈরি শতভাগ ভারতীয় টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’।

তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলার মধ্যেই কোভ্যাক্সিন টিকাটি জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র দেয় ভারত সরকার।

এদিকে সোমবার থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। সম্প্রসারিত কার্যক্রমে ৬০ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে যাঁরা গুরুতর অসুস্থ, তাঁরাও টিকা পাবেন। তবে এ জন্য অনুমোদিত চিকিৎসকের কাছ থেকে সুপারিশ আনতে হবে।

শুরুর ধাপে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির কর্মীদের টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করে ভারত সরকার। তবে ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার প্রতি মানুষের অনাগ্রহসহ অন্যান্য কিছু কারণে টিকাদানে আশানুরূপ অগ্রগতি পাওয়া যায়নি।

শুরুর ধাপে টিকা পছন্দ করার কোনো সুযোগ গ্রহীতাদের দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন তা পেতে যাচ্ছেন গ্রহীতারা। কারণ, ভারত সরকার সম্প্রসারিত কার্যক্রমে লোকজনকে তাদের টিকা গ্রহণের কেন্দ্র পছন্দের সুযোগ দেবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে লোকজনের টিকা পছন্দ করারও সুযোগ তৈরি হবে। এতে টিকা নেওয়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

ভারতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও ৩ থেকে ৪টি টিকা ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেতে পারে। বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ।

এস এস