ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতে রোহিঙ্গাদের ধরপাকড় চলছে


ভারতের জম্মু-কাশ্মির ও দিল্লিতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ তল্লাশি অভিযান ও ধরপাকড় শুরু করেছে। ফলে 

উপযুক্ত পরিচয়পত্র না থাকায় আটক প্রায় পৌনে দুশো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ জম্মুর হীরানগরের বন্দী শিবিরে আটক রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে দিল্লির একটি রোহিঙ্গা শিবিরে সোমবার (৮ মার্চ) রাতে দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানকার রোহিঙ্গাদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে বলে ধারণা করা হয়। এর প্রায় এক-চতুর্থাংশই থাকে জম্মু শহর ও তার আশেপাশের নানা বস্তিতে।

জম্মুর রোহিঙ্গারা দলে দলে দিল্লিতে গিয়ে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানায় বিবিসি।

জম্মুতে রোহিঙ্গারা দিনমজুরি, মাছ ধরা, অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। জম্মুতে তাদের একটি 'বার্মা মার্কেট'-ও গড়ে উঠেছে।

এসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই দশ বা বিশ বছর ধরে জম্মুতে আছেন। গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গাদের জম্মু থেকে তাড়ানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা আন্দোলন শুরু করেছেন।

রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের প্রবল সমর্থন থাকায় ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা সেখানে 'রোহিঙ্গা খেদাও'য়ের ডাক দিচ্ছেন।

এই পটভূমিতেই জম্মু পুলিশ গত শনিবার সকালে রোহিঙ্গা কলোনিতে গিয়ে সবাইকে স্থানীয় মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে হাজিরা দিতে বলে। সেখানে তাদের পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানায়।

রোহিঙ্গা কলোনির মহম্মদ সুলেমান বিবিসিকে জানায়, 'ভেরিফিকেশনের পর আমরা যে আড়াইশো মতো লোক গিয়েছিলাম তার মধ্যে ১৫৫ জনকেই পুলিশ আটক করে সাম্বা জেলে ঢুকিয়ে দেয়। ফলে কারও মা, কারও বাবাকে জেলে যেতে হয় - অথচ বাচ্চারা রয়ে যায় বাইরেই।'

আটকদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিলো, তারা জাল নথি দিয়ে ভারতের পরিচয়পত্র বা আধার কার্ড জোগাড় করেছেন।

এই অভিযান নিয়ে পুলিশ কিছু না বললেও জম্মুতে বিজেপির প্রেসিডেন্ট রবীন্দ্র রায়না দাবি করছেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের অনুরোধেই এই পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, 'মায়ানমার সরকার ভারতের কাছে এ দেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়েছে বলেই যাচাই করে দেখা হচ্ছে এদের মধ্যে কারা কারা সে দেশের নাগরিক। তারা স্বদেশে ফিরে যেতে পারলে তার চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না, এটা তো মানবেন?'

এডিবি/