ন্যাভিগেশন মেনু

রাণীনগরে স্বেচ্ছাশ্রমে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ


নওগাঁর রাণীনগরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন শতাধিক কৃষক। এতে করে কৃষকদের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির ফসল রক্ষা পাবে।

বিল মুনছুরে ধানের মৌসুমে বিলের জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে আসার মতো রাস্তা না থাকায় তাদের উৎপাদন খরচ বেশি হতো। এ থেকে রক্ষা পেতে আতাইকুলাসহ আশেপাশের গ্রামের শতাধিক কৃষক একত্রিত হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন।

জানা গেছে, বছরের প্রায় ৬ মাস পানিতে নিমজ্জিত থাকে বিল মনছুর। বিলের আশেপাশের উঁচু কিছু জমিতে বিভিন্ন রবিশষ্য  করে থাকেন কৃষকরা। বিলের জমি থেকে ধান বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য আতাইকুলা গ্রামের বিশ্ববাঁধের তজের মোড় থেকে বড়ধর খাল পর্যন্ত একটি রাস্তা থাকলেও তা সংস্কার না করায় জমিতে পরিণত হয়েছিলো।

এ ছাড়াও মাঠের মধ্যদিয়ে চলাচলের জন্য উপযুক্ত কোনো রাস্তা না থাকায় কৃষকদের বেশি মজুরি দিয়ে ধান ঘরে তুলতে হতো। এতে উৎপাদন খরচও দ্বিগুণ হতো। শুধু ধান বহনই নয়; অন্যান্য কাজের জন্যও গ্রামবাসী বিভিন্ন কাজে রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারতেন না। তাই আতাইকুলা গ্রামের বিশেষ করে কৃষকরা স্থানীয়ভাবে অর্থের যোগান দিয়ে রাস্তাটিতে মাটি কেটে উঁচু করেছেন। যেনো আসন্ন বোরো মৌসুমে রাস্তাটি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুম আসার আগেই যদি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দুইপাশে পাঁকা না করা হয় তাহলে এটি আবারও নষ্ট হয়ে যাবে।

আতাইকুলা গ্রামের রনজিত সাহা, রকেট মন্ডলসহ অনেকেই আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, রাস্তা না থাকায় জমি থেকে ধান বহন খুব কষ্ট ও খরচ বেশি হতো। এই চরম দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে আমরা কৃষকরা নিজেদের অর্থ ও শ্রম দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে মাটি কেটে তৈরি করেছি।

তারা জানান, রাস্তাটি নতুন করে সংস্কার করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে এলাকাবাসী বার বার ধর্ণা দিলেও কোন লাভ হয়নি। শুধু আশ্বাসের বানী শুনিয়েছেন তারা। রাস্তাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। তা না হলে বর্ষার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছে এটি খুব ভালো কাজ। রাস্তাটিকে স্থায়ী করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবো।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক বলেন, রাস্তাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটির নিবন্ধন এখনো হয়নি। রাস্তাটির দ্রুত নিবন্ধন করে এবং স্থানীয় সাংসদের পরামর্শে স্থায়ীভাবে পাকাকরনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রানা/সিবি/এডিবি