সিলেটের শহরতলিতে এক কিশোরীকে আটকে রেখে বন্ধুদের নিয়ে টানা ৮ দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে প্রেমিক জাকির আহমেদ মুহসিন (২৪)। ধর্ষিতা জানায়, ধর্ষণের পর পানির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধও খাওয়ানো হতো তাকে।
এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক ও কিশোরীকে উদ্ধার করেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে শাহপরাণ থানার কল্লোগ্রাম এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গোয়াইনঘাট সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিক ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় শাহপরাণ থানার পীরের চক গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে মো. জাকির হোসেন ও চেরাগ আলীর ছেলে আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২০ নভেম্বর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যায় মো. জাকির হোসেন নামে ওই যুবক। ওইদিন রাত ১০টার দিকে কিশোরীর বাবা-মা তাদের মেয়েকে খোঁজে না পেয়ে পরবর্তীতে জানতে পারেন জাকির তাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে ওই কিশোরীর বাবা জাকিরকে অভিযুক্ত করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উদ্ধারের পর নির্যাতিতা কিশোরী জানায় - জাকিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ২০ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে হঠাৎ জাকির উপস্থিত হয়ে বলে তার সঙ্গে ওই কিশোরীকে পালিয়ে যেতে। পালিয়ে না গেলে জাকির আত্মহত্যার হুমকিও দেয়। পরে ওই কিশোরী ভয় পেয়ে কাউকে না বলে জাকিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
কিশোরীকে নিয়ে ওইদিন রাতে চেঙ্গেরখাল নদীর পারে জাকির আরও চার থেকে পাঁচজন যুবকের সঙ্গে মিলিত হয়। জাকির এ সময় কিশোরীর কাছে ওই যুবকদের বন্ধু বলে পরিচয় দেন। কিন্তু ওই রাতেই কিশোরীর চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ওরা সবাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গেলো আট দিনে ওরা সবাই একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে।
এ ছাড়াও কিশোরীর কথিত প্রেমিকও তার বন্ধুরা পানির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধ সেবন করান ওই কিশোরীকে।
এ ব্যপারে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাটের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের ওই কিশোরীর বাবা গোয়াইনঘাট থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি তদন্তের জন্য জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। এর পর অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ এ বিষয়ে বলেন, তদন্তসাপেক্ষে আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিবি/এডিবি