ন্যাভিগেশন মেনু

ভালুকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বন বিভাগের ৩০ একর জমিতে দেয়াল নির্মাণ


ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা হবিরবাড়ি বিটের জামিরদিয়া মৌজায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র বন বিভাগের ৩০ একর সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে।

প্রকাশ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে সীমানা প্রাচীর করায় বন বিভাগ অসহায় অবস্থায় রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে আদালত, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা না করলে শতকোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা দুরূহ হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমীন জানান, 'ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা হবিরবাড়ি বিটের জামিরদিয়া মৌজায় সি.এস ৬৭নং দাগের মোট ৪৫.৮৮ একর। যৌথ জরিপকৃত সংরক্ষিত বন বিভাগের ৩০ একর জমি। একই দাগে আনুমানিক ৫ একর জমি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নামে রয়েছে।

বন বিভাগের জমির চৌহদিতে তিনদিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি এবং একদিকে রাস্তা। বন বিভাগের জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে সেই রাস্তার পাশেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে ফেলেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী বেলাল ফকির তার মাস্তানদের দিয়ে প্রকাশ্যে জোরপূর্বক বন বিভাগের জমির উপর বাউন্ডারি নির্মাণ করে ফেলেছে।'

আদালত সূত্র জানা গেছে, ময়মনসিংহের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নং ২৩/২০১৭ সিভিল পিটিশন মোকাদ্দমায় বিজ্ঞ বিচারক গত ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইং তারিখে ৬৭ দাগের তফসিলে বর্ণিত জমিতে  বাদি ও বিবাদি পক্ষ উভয়ে কোনারূপ প্রবেশ না করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে কোনরূপ বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি না করার জন্য অন্তবর্তীকালীন নিষেধজ্ঞা জারি করেন।

বন বিভাগ জমির উপর জোরপূর্বক নির্মিত দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রতিকার চেয়ে ভালুকা উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ২০১৯ সালে উক্তস্থানে জবরদখলের উদ্দেশ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে চাইলে দুদক ও ভালুকা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে  ভালুকায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্থানীয় অ্যাজেন্ট বেলাল ফকিরের মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এনআই/এডিবি/