ন্যাভিগেশন মেনু

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত


ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনের উদ্যোগের যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

১৫ আগস্ট প্রত্যুষে দূতালয় এবং বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। 

সকাল সাড়ে দশটায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ তারাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ও তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা; এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের স্মরণ করেন। তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। 

বক্তরা পঁচাত্তরের ববর্রোচিত ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদেশে পলাতক অপর খুনীদের দেশে ফেরত এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানান। 

জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা। তখন বিশ্ব ছিল দুভাগে বিভক্ত। এক অংশ ছিল শোষক ও অন্য অংশ ছিল শোষিত। বঙ্গবঙ্গু ছিলেন শোষিত মানুষের পক্ষে এবং তিনি ছিলেন শোষিত মানুষের নেতা। বাঙালি জাতি চিরদিনের জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের মাধ্যমেই এ ঋণ শোধ করা সম্ভব হতে পারে।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সকলের সহযোগিতা করা উচিত।

বিশ্ব অর্থনীতির দুঃসময়েও আমাদের ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির সূচক উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই তা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ব মহামারির সময়েও বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, অচিরেই বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

এডিবি/