ন্যাভিগেশন মেনু

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা ‘অবৈধ’ ঘোষণার রায় প্রকাশ


ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা দেওয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজাও বাতিল করা হয়েছে।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বুধবার রাতে ৩১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

৩১ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়েছে, শিশুর বিরুদ্ধে যেকোনও অভিযোগের বিচার শুধু আদালতেই হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দূরের কথা, নিম্ন আদালতের কোনও বিচারক শিশুদের বিচার করলেও তা বেআইনি হবে।

রায়ে আরও বলা হয়, কোনও অপরাধে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু একত্রে জড়িত থাকলেও শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতই করবে। অন্য কোনও আদালত দণ্ড দিলে তা অবৈধ হবে। শিশুদের মোবাইল কোর্ট কোনও দণ্ড দিতে পারবে না। কারণ মোবাইল কোর্ট কোনও শিশুকে দণ্ড দিলে তা সংবিধানের ৩০ ও ৩৫ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

এক্ষেত্রে ১২১ শিশুকে দণ্ড দেয়ার ক্ষেত্রেও মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জানানো হয় রায়ে। একইসঙ্গে এই ধরনের সাজাপ্রদান আমাদের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বহির্বিশ্বে দেশের সুনামকে ব্যাহত করেছে। তাই এখনই তা বন্ধ করতে হবে।

এর আগে গেল ১১ মার্চ এ সংক্রান্ত এক রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

গেল বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমান আদালতের দেয়া দণ্ডে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাধেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আদালতের আদেশের পর এসব শিশুকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

ওআ/