ন্যাভিগেশন মেনু

মমতার নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া


ভোট পরবর্তী ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত অফিসের তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল। তৃণমূল পরিচালিত আমদাবাদ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পালটা চুরির অভিযোগে সরব বিজেপি।

তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল চৌর্যবৃত্তিতেই অভ্যস্ত। দুর্নীতি চাপা দিতেই এভাবে সব নথি সরানো হল। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যতই জারি থাকুক, পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া যাওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে কর্মী, আধিকারিকরা। কীভাবে কাজ হবে, এই মুহূর্তে সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবনার বিষয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমদাবাদ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সবকটি আলো নেভানো ছিল। অন্ধকারের সুযোগেই পঞ্চায়েত অফিসের তালা ভেঙে হার্ডডিস্ক, কম্পিউটার-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। নন্দীগ্রাম ২ দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি সহ-সভাপতি দিলীপ পালের স্পষ্ট অভিযোগ, ”তৃণমূল তো চুরিতেই অভ্যস্ত। বরাবর চুরি করে।

আমফানের চাল চুরি করেছে। এবার পঞ্চায়েতের দুর্নীতি ঢাকতে এসব চুরি করিয়েছে ওরা নিজেরাই। নাহলে রাতে কেন সব আলো নেভা ছিল? আমরা এর যথাযথ তদন্ত চাই।”

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি সবচেয়ে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। এখান থেকে লড়েছেন দুই হেভিওয়েট – তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এখানে।

তবে বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, খানিকটা হলেও পাল্লা ভারী তৃণমূলের। আবার গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুভেন্দুই জিতবেন। এই টানাপোড়েনের অবসান হবে ২ মে। তবে তার আগে নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত অফিসের চুরির ঘটনা একাধারে অনেকগুলো প্রশ্ন উসকে দিল।

দ্বিতীয়ত, নেতা-নেত্রীদের বাক্যবাণ! হ্যাঁ, বোমা-গুলি-প্রাণহানি এসব হয়তো বঙ্গ নির্বাচনের বড্ড পরিচিত ছবি। কিন্তু প্রথম সারির নেতানেত্রীরা যে অসৌজন্যের পরিচয় এবারে দিয়েছেন, তা একেবারেই বিরল।

শাসক এবং বিরোধী শিবির দুই শিবিরই এক্ষেত্রে সমানভাবে দুষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর বা মুখ্যমন্ত্রীর একে অপরের প্রতি ন্যূনতম যে সৌজন্য দেখানো উচিত, তার বিন্দুমাত্র এবারের নির্বাচনে দেখা যায়নি।

তৃতীয়ত, দল ভাঙানোর খেলা। ভোটের আগে দলবদলের এই নিষ্ঠুর খেলা বাংলা আগে দেখেছে কি? প্রার্থী ঘোষণার পর জানা গেল, যার নাম ঘোষণা হয়েছে তিনি জানেনই না! তিনি প্রার্থী হতে চান না। আবার এক দলের তরফে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর দল বদলে প্রার্থী গেলেন অন্য দলে।

এক দল থেকে অন্য দলে গিয়েই সটান প্রার্থী। টিকিট না পেয়ে কান্নাকাটি করে দলত্যাগ। কতই না হাস্যকর ঘটনা ঘটেছে এবারের ভোটে। নেতা একই থাকছেন, বদলে যাচ্ছে শুধু দল। কি কিউট না!

এস এস