ন্যাভিগেশন মেনু

মহালয়ায় আবাহন হলো মা দূর্গার আগমন বার্তা


ধরিত্রী রক্ষায় ও মানব সন্তানদের দেখতে বছরে একবার মর্তে আগমন করেন। তাঁর আসার জানান দেয়- মহালয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন ঘটতে বাকি নেই।

মহালয়ার দিন ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে আবাহন ঘটেছে মা দুর্গার। দেবীকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ।

আর দেবীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই সূচিত হয় মাতৃপক্ষের। শনিবার মহালয়ার মাধ্যমে সেই মাতৃপক্ষকে বরণ করে নিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

শনিবার ভোরে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে আনুষ্ঠানিক পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা। আগামী ৪ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত শনিবার থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শুনতে পাবে।

শাস্ত্রীয় বিধানমতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে মহান আলোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে আবাহন। দু’টি পক্ষ রয়েছে, একটি পিতৃপক্ষ, অন্যটি দেবীপক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর প্রতিপদ তিথিতে শুরু দেবীপক্ষের। শনিবার মহালয়ার মাধ্যমে সেই দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে।

মহালয়া উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজাম-পগুলোতে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। চণ্ডীপাঠ ছাড়াও মঙ্গলঘট স্থাপন, চণ্ডীপূজা, ভক্তিমূলক সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল দিনের আনুষ্ঠানিকতার অংশ।

এদিন ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীদুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানান ভক্তরা। অনেক ভক্তই গঙ্গাতীরে তাদের মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতি প্রার্থনা করে তর্পণ করেন।

আগামী ৪ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল পূজা। ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব।

শনিবার ভোরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করে দেবীদুর্গাকে আবাহন জানানো হয়।

পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে মহালয়ার উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ। চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে দেবী অর্চনা ছিল শুরুতে।

এ সময় দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা আবাহন ও ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সকালে মহালয়ার ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। পরে মন্দিরের জলাশয়ে গত বছরের দেবীর প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী, বনানী, রমনা কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সকালে ছিল মহালয়ার ব্যাপক আয়োজন।

গুলশান-বনানী সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবার এই মণ্ডপে পূজা আয়োজনের একযুগ পূর্তি হলো।

এদিন এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ভোরে আরাধনার মাধ্যমে দেবীদুর্গার আবাহন ছাড়াও এখানে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বেলা এগারোটায় এখানে দেশবরেণ্য শিল্পীরা তুলির আঁচলে ফুটিয়ে তোলেন নিজেদের শিল্পকর্ম।

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন

এস এস