ন্যাভিগেশন মেনু

মহেশখালীতে আফরোজা হত্যাকাণ্ড: চাচার জিম্মায় প্রত্যক্ষদর্শী জারা


কক্সবাজারের মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ আফরোজা হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ৪ বছরের শিশু জেরিন মেহেজাবিন জারাকে চাচা মাসুদ হাসান এহেসানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেরিন মেহেজাবিন জারা তার বাবার হাতে খুন হওয়া সৎমায়ের মরদেহ গুম করার জায়গা পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিলো।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রুমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হাই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহির উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি রকিব হাসান বাপ্পীর মেয়ে জেরিন মেহেজাবিন জারাকে (৪) হস্তান্তর করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন - কালারমারছড়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিয়াকত আলী, স্থানীয় সাংবাদিক ওচমান জাহাঙ্গীর, চৌকিদার নাজেম উদ্দিন নাজু।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই জানান, ‘জেরিন মেহজাবিন জারাকে তার সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর তার চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর থেকে জারা পুলিশ হেফাজতে ছিলো, আফরোজা হত্যার সে-ই একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী।’

তিনি জানান, ‘তার পিতা রাকিব হাসান বাপ্পি, তার ছোট মা আফরোজাকে কিভাবে মেরেছে, কিভাবে খুন করেছে, লাশ মাটিতে পুতেছে, সে প্রত্যক্ষদর্শী ছিল। তার তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ অক্টোবর পুলিশ তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় আফরোজার লাশ উদ্ধারে সক্ষম হয় পুলিশ।’

তিনি আরও জানান, ‘১২ অক্টোবর থেকে গৃহবধু আফরোজা নিখোঁজ ছিলো। এইদিন থেকে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পীও নিরুদ্দেশ। সে পালিয়ে যাবার আগে তার আগের বউয়ের সন্তান জারাকে তার দাদীর কাছে পাঠিয়েছিলো। পরে পুলিশ কৌশলে জারাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যমতে লাশের সন্ধান পান।’

উল্লেখ্য, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া গ্রামের ইছহাকের মেয়ে আফরোজার সাথে গত নয়মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার আওয়মী লীগ নেতা হাসান বশিরের ছেলে বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রকিব হাসান বাপ্পির বিয়ে হয়।

একাধিক বিয়ে করে সংসার ভাঙ্গা স্বামী বাপ্পির সাথে স্ত্রী আফরোজার পারিবারিক কলহ ছিল। এই নিয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে বিচারও হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের জিম্মায় আফরোজা আবার স্বামীর সাথে সংসার করতে থাকেন।

সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর আফরোজাকে ব্যাপক মারধর করে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। এরপর থেকে স্বামী বাপ্পিও ছিল পলাতক। গত ১৭ অক্টোবর স্বামীর বাড়ির উঠানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় গৃহবধূ আফরোজার লাশ উদ্ধার করা হয়।      

এসএএম/এমআইআর/এডিবি