ন্যাভিগেশন মেনু

মাংস প্রক্রিয়া কারখানায় করোনার ঝুঁকি বেশি


যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বে সামনে চলে এসেছে প্রসেসড ফুড। প্রতিদিন বাজার করা ধোয়াধুয়ি অনেক সমস্যা মানুষ চায় দ্রুত কাজ সমাধা। এজন্য সবাই গ্রোসারিতে ছোটেন প্রসেসড খাদ্যসামগ্রী কিনতে।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গত  সপ্তাহে কয়েকশ কর্মী করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। 

ফলে এবার খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় ঝুঁকির বিষয়টি নতুন উদ্বেগ তৈরী করেছে। সেই সঙ্গে কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরডোর জেবিএস এসএ বিফ ফ্যাসিলিটিতে ৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। 

পেনসিলভ্যানিয়াতে কারগিল ইনকরপোরেশনের মাংস প্যাকেজিং কারখানায় পাওয়া গেছে ১৬০ জন। এসব তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মীরা।

সাউথ ডেকোটো গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন স্মিথফিন্ড ফুডস ইনকরপোরেশনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯০ জন। ইতিমধ্যে কারগিল ও স্মিথফিন্ডের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যদিও জেবিএস কার্যক্রম চালাচ্ছে। 

এসব কারখানার কর্মীরাও মারা যেতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার ইউনিয়ন কর্মকর্তারা দুইজনের বেশি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাংস উৎপাদনকারী ব্রাজিলীয় প্রতিষ্ঠান জেবিএস এসএ’র আমেরিকান ইউনিটের এক ইমেইলে বলা হয়, ‘আমাদের পুরো দেশই যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তখন জেবিএস এসএ’র টিম সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। 

যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের এবং তাদের পরিবারকে আমরা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু অঞ্চলেই মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। 

এর মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য কলোরডো, আইওয়া, নেবরাস্কা এবং পেনসিলভ্যানিয়া। গত মাসে এ রোগে নিউ ইয়র্কের খাদ্য পরিদর্শক মারা গেছেন। 

মাংস কারখানার কর্মীদের ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ওয়েনডেল ইয়াং বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে পেনসিলভ্যানিয়াতে কমপক্ষে চারটি মাংস কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এস এস