ন্যাভিগেশন মেনু

মাটিতে নিহত লিখলেন ঘাতকদের নাম


জীবন চলে যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ঘাতকরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সেজন্য মৃত্যুর আগে মাটিতে লিখে গেলেন পাপিষ্টদের নাম।
মাটিতে লিখে যাওয়া ঘাতকদের নামের সূত্র ধরে ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সব আসামি গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলামকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং পুলিশ মোট আট জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে হত্যায় সরাসরি জড়িত চার জন। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও ছুরি।

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে রুবেল। অটোরিকশার সামনে চালকের বামপাশে বসা হাসান আশরাফুলের একহাত চেপে ধরে। আর ডানপাশে বসা রাজেন অন্য হাত চেপে ধরে। পেছনে বসা আকরাম গামছা দিয়ে গলা চেপে ধরে।

এরপর পেছনের সিটে বসা রুবেল গলায় ছুরি চালায়। পরে আশরাফুলকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ঝোঁপে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় এই চার জন।

অটোরিকশা চুরি করে দালাল আমির হোসেনের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ীর তোফাজ্জলের কাছে তা ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তোফাজ্জল লৌহজংয়ের মসদগায়ের সবুজের কাছে সেটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

সে রাতেই সবুজ আবার কাজলের কাছে ৭০ হাজার টাকায় অটোরিকশাটি হস্তান্তর করে। পুলিশ লৌহজংয়ের কলমা গ্রামের কাজলের বাড়ি থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।

লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, মৃত্যুর আগে মাটিতে আশরাফুলের লিখে যাওয়া নাম ধরেই হাসান ও রাজেনকে পুলিশ তাত্ক্ষণিক গ্রেফতারের পরই বেরিয়ে আসে পুরো ঘটনা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরের বাঘড়ার থেকে রুবেল আর আকরাম লৌহজংয়ে যাওয়ার কথা বলে আশরাফুলের অটোরিকশা ভাড়া করে।  পরে অটোটি লৌহজংয়ের কারপাশার নির্জন স্থানে এনে ঘাতকরা তাকে জবাই করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়।

এস এস