ন্যাভিগেশন মেনু

মাদক মামলায় ব্যতিক্রমী রায় দিলেন আদালত!


মাদক মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মতি মাতবরকে কারাগারে প্রেরণ  না করে পরিবারের সাথে থেকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি জাফর আহমেদের একক বেঞ্চ এ রায় দেন।

তবে এ রায়ে মানতে হবে কয়েকটি শর্ত। দেড় বছর থাকতে হবে প্রবেশন অফিসারের অধীনে।

অন্য যে শর্তগুলো মানতে হবে আসামী মতি মাতবরকে সেগুলো হলো - ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মায়ের যত্ন নিতে হবে। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ও দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে হবে। আইন অনুসারে নির্ধারিত বয়সের আগে মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবেন না। এসব শর্ত না মানলে তাকে জেলে যেতে হবে।

আইনজীবীরা জানান, আসামী মতি মাতবরের কাছ থেকে ৪১১ এবং অপর একজন আসামীর কাছ থেকে ৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর ঢাকার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হাকিম আদালত তাদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের পর আপিল খারিজ করে দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত।

পরে ২০১৭ সালের ১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন আবেদন করেন আসামী মতি মাতবর।

মতি মাতবর ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘ ২০ মাস কারাভোগ করেন। ২০১৭ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। একই সঙ্গে আসামীর পূর্বের অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রতিবেদনে আসামীর কোনো অপরাধের রেকর্ড না পাওয়ায়, তাকে পরিবারের সাথে থেকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

দেশের ইতিহাসে বিশেষ আইনে প্রবেশনের সুযোগ পাওয়ার পর এটাই প্রথম রায়।

এস এ /এডিবি