শুধু অভিনয় নয়, মানবিক হৃদয়টাও রয়েছে হালের হাটথ্রব নায়িকা সাংসদ নুসরাতের। কেননা করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত গোটা ভারত। কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটে রোগ মোকাবিলার পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন।
প্রায় প্রতিদিনই উঠছে হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের আকালের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের ভাল রাখার উদ্যোগ অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানের। কলকাতার ভ্যাবলা পলিটেকনিক কলেজে সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খুললেন তিনি।
কম উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীরা নুসরত জাহানের উদ্যোগে তৈরি ওই সেফ হোমে থাকতে পারবেন। হাসপাতালের বেড এবং অক্সিজেন নিয়ে যখন হাজারও অভিযোগ উঠছে তখন এই সেফ হোমের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এছাড়াও কোভিড আক্রান্ত এবং দুস্থ পরিবারের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলবে খাবার। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন খোদ তৃণমূলের তারকা সাংসদ। ওই সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেনের পরিষেবা পাওয়ার জন্য ফোন নম্বরও শেয়ার করেছেন নুসরত।
বসিরহাটের মহকুমার তৃণমূল সাংসদের এহেন উদ্যোগকে নেটদুনিয়ায় কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। করোনা কালে এই সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খোলার ভাবনা সত্যিই যথেষ্ট ভাল বলেই জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
তবে অনেকেই আবার তাঁর এই কাজের সমালোচনাতেও মুখর। সাংসদ হিসাবে নুসরত সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি বলেই দাবি তাঁদের। তবে এই প্রথমবার নয়।
এর আগেও একাধিকবার নেটদুনিয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। মুসলমান পরিবারের সন্তান হয়ে শাঁখা, পলা পরা হোক কিংবা সাহসী পোশাকে ফটোশুট বারবার নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হন বসিরহাটের সাংসদ।
প্রতিবারের মতো এবারও সমালোচনায় কান দিতে নারাজ নুসরত। পরিবর্তে বসিরহাট বিধানসভার প্রতিটি কেন্দ্রে সেফ হোম তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব হত না বলেও জানিয়েছেন নুসরত।
বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সকলকে কোভিডবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন
এস এস
