ন্যাভিগেশন মেনু

মাফিয়া ডন নাফিজ আলম গ্রেফতার খিলক্ষেত থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশীমদ ও অস্ত্র উদ্ধার


রাজধানীর খিলক্ষেত লেকসিটি কনকর্ড ছায়ানীড় ভবন ফ্ল্যাট ১৫এন-ই/২ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, মাদক দ্রব্য ও দুইটি অস্ত্রসহ নগদ অর্থ এক লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করেছে উত্তরা দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা।

এ বিষয়ে খিলখেত থানার অফিসার ইনচার্জ বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন,

অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও মাদকদ্রব্য সেবন আইনের গ্রেফতারকৃত নাফিস মোঃ আলম ডনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় ২ টি মামলা দায়ের করা হবে।

জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অভিযান চালিয়ে বনানী ১১ এর সেলসিয়াস শিষাবারের সামনে থেকে অস্ত্রসহ নাফিস মো: আলম ডন-কে গ্রেফতার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে তার খিলক্ষেতের ফ্ল্যাট থেকে মো: সুজন নামে আরো একজন সহযোগীকে আটক করেন তারা।

এ সময় তাদের বাসা থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ, বিয়ার, শিশা সেবনের স্ট্যান্ড, ফয়েল পেপার, বিভিন্ন মদের ডিলারদের তথ্য সংবলিত ডায়েরী, ওয়াকটকি সেট, সিগন্যাল লাইট, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি জব্দ করে দিয়াবাড়ি সেনা ক্যাম্প ও খিলক্ষেত থানা পুলিশ এর যৌথবাহিনী।

অস্র ও মাদকসহ গ্রেফতার কৃত নাফিস মো: আলম এর রয়েছে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বৈত নাগরিকত্ব। সে সুবাদে সে মাঝে মাঝে কানাডার পাসপোর্ট দেখিয়ে নিজেকে বাংলাদেশে ফরেইনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এরই সুযোগ নিয়ে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মদ ব্যবসা'র সাম্রাজ্য তৈরি করেছে।

জানা যায়, বনানী ১১ সেলসিয়াস শিশা বার, একই রোডের বনানী ফার্মাসীসহ সে বেশ কিছু নামীদামী বার ও ক্লাবে মদ সরবরাহ করে।জানা যায়,

তার নিজস্ব মদ সরবরাহের কোম্পানির নাম সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনাল। সে বসুন্ধরা, বারিধারা, গুলশান বনানী এলাকাসহ ঢাকার বেশ কিছু স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝেও এই মদের চালান যোগায়।

নাফিস প্রায়ই নিজেকে ডন বলে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করতো। তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘাটলে কেউ বিশ্বাসই করবে না বাংলাদেশের মতো একটি দেশে এভাবে জনসমুক্ষে কেউ অস্ত্র, মদ, নারী ইত্যাদি নিয়ে উন্মাদনা ছড়াতে পারে৷

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে শট গান দিয়ে ফায়ারের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সে সেই ভিডিও দিয়ে নিজের আধিপত্য আরও বেশি জাহির করার চেষ্টা করে।

জানা যায় ০৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থানা হতে লুট হওয়া পুলিশের পিস্তল গুলোর মধ্যেই একটি নাফিসের নিকট প্রাপ্ত পিস্তল। তবে এটি কোন থানা থেকে লুট করা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। জানা যায়, নাফিসের এই সাম্রাজ্যে জড়িত রয়েছে তার স্ত্রীসহ আরো অনেকেই।

দিয়াবাড়ি সেনা ক্যাম্পের এক অফিসার বলেন,

নাফিসকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমরা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম। সে এতটাই উন্মাদ যে নিয়মকানুন আইন কিছুই সে তোয়াক্কা করতো না। নাফিস এর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরুদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলাসহ পূর্বের প্রায় ৭ টি মামলা রয়েছে।