ন্যাভিগেশন মেনু

মামলা দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে পিটিয়ে আহত


রাজশাহীতে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার অপরাধে ট্রাফিক সার্জেন্ট বিপুল কুমারকে চেলাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে এক যুবক। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা ঐতিহ্য চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রাফিক সার্জেন্টেকে গুরুত্বর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেলে আসছিলেন এক যুবক। ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এছাড়া হেলমেট না থাকায় তিনি মামলা দিতে শুরু করেন। তখন ওই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে ফুটপাতের ওপর ওঠেন। এরপর সার্জেন্টের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এরই একপর্যায়ে ফার্নিচারের দোকান থেকে চেলাকাঠ এনে আচমকাই মারধর শুরু করেন সার্জেন্টকে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ওই যুবক মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।’

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনাস্থলের একজন চায়ের দোকানদার ও পাশের একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারীকে আটক করে থানায় নিয়েছে গেছে পুলিশ।

আটক দু'জন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের নাম বেলাল। তার বাড়ি নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায়। তিনি সামনের চায়ের দোকানেই আড্ডা দেন।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাফিক সার্জেন্ট বিপুল কুমারকে দেখতে যান রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সার্জেন্টকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো হামলাকারী। ডাক্তার বলেছেন, হাত ভেঙে গেছে। বুকে ফ্র্যাকচার হয়েছে। সার্জেন্ট তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটা অবৈধ মোটরসাইকেল আটকানোর পরে তার কাগজপত্র চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কাঠের দোকান থেকে তিনি কাঠ এনে বেদম মারপিট করে। আমাদের সার্জেন্ট পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তারপর সিএনজিতে উঠলে তখনও মেরেছে। তার উদ্দেশ্য ছিল- সার্জেন্টকে মেরে ফেলা।’

তিনি বলেন, আমরা তার নাম-ঠিকানা পেয়েছি। তার মোটরসাইকেলও জব্দ করেছি। এর সঙ্গে কোনো কাগজপত্র নেই।

এ বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এস এ/এডিবি