ন্যাভিগেশন মেনু

মামুনুলের লক্ষ্য ছিল সরকার পতন, চুক্তিভিত্তিক ২ বিয়ে


‘লক্ষ্যটা ছিল সরকারের পতনের মাধ্যমে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করা। এজন্য হালের বহুল আলোচিত ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধী বিক্ষোভের মূল চক্রী হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক পুলিশের রিমাণ্ডে এ তথ্য দিয়েছে।

মামুনুল হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতো যে,শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে কাউকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হলে হেফাজতের সমর্থন লাগবে। এই মিশনে সে আফগানিস্তান-ফেরত মুজাহিদ ও জামাতের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত।

এদিকে মারধর, হুমকি, ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃত গোলযোগ সৃষ্টি, মোবাইল চুরির অভিযোগে গত বছর দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  মামুনুলকে ৭ দিনের রিমাণ্ডে পেয়েছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সাজেদুল হক এ রিমান্ডের আবেদন করেন।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) দেবদাস চন্দ্র অধিকারী পুলিশের আবেদনে এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

হেফাজত নেতা মামুনুল তিন বিয়ের মধ্যে দুটি চুক্তিভিত্তিক বিয়ে বলে স্বীকার করে নেন।কিন্তু তিনি  এ’দুটি বিয়ে-সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

এদিকে হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে তাণ্ডব ও নৃশংস হামলার ঘটনার বিষয়গুলো নিজের ঘাড়ে দায় নিয়েছেন মামুনুল।রিমাণ্ডে ৩ বিয়ের ব্যাপারে পুলিশকে মামুনুল জানান, প্রথম বিয়ে ছাড়া দুই জান্নাতকেই কন্ট্রাকচ্যুয়াল (চুক্তিভিত্তিক) বিয়ে করেছিলেন। অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিতেই দুই তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করেন বলে তিনি দাবি করেছেন। 

এছাড়া রিমাণ্ডে সোনারগাঁও থানার রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডে নারী ধরা খাওয়া বিষয়ে মামুনুল জানায়-শুরুতে বিয়ের কথা স্বীকার করলে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বা বড় ধরনের কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতেন বলে তিনি আশঙ্কা করছিলেন।

মামুনুল জানান, স্ত্রী ছাড়া অপর যে দুই মহিলার সঙ্গে অনেক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছেন। তার এ দুই বিয়ের কোনো কাবিন-বৈধ কাগজপত্র নেই।

দুই নারীর ডিভোর্স হওয়ায় মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই তাদের দিকে এগিয়ে যান তিনি। একজনকে মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় চাকরিও দিয়েছেন।

মামুনুলের কথিত ছোট স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি। তবে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন তিনি।

গোয়েন্দা পুলিশের একজন আধিকারীক বলেন, হেফাজতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘উগ্রপন্থি’ নেতা মামুনুল হক।গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বলেছেন, তিনি পরের দুই জনকে বিয়ে করেননি।

তবে দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির কপিও উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, মামুনুল হক তাদের বিয়ে করবেন না, স্ত্রীর মর্যাদাও দেবেন না।

তবে তাদের ভরণপোষণ দেবেন। এই শর্তে যে, তিনি স্ত্রীর মতো করে তাদের সঙ্গে মিশবেন। যেখানে যেতে বলবেন, সেখানে যেতে হবে এবং তার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হবে।

বিয়ে না করে কারো সঙ্গে চুক্তি করে থাকা যায় কি না? এর জবাবে মামুনুল বলেছে, এটা শরিয়তসম্মত। তিনি স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও তাদের ভরণপোষণ দিচ্ছেন। তার বিনিময়ে তারা তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন।

এটা ইসলামের বিধিবিধানের মধ্যেই তিনি করেছেন বলে দাবি করেন। তবে এই পরিস্থিতিতে সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে যাওয়া তার ঠিক হয়নি। আর গেলেও আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে নেতাকর্মীদের জানিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

এস এস