ন্যাভিগেশন মেনু

৪ বছরের শিশুটিকে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয়ার পর হালিম বললেন, ‘মনের কষ্টে মারিছি’


সুনামগঞ্জ পৌরশহরের গুজাউড়া হাছননগরে এনামুল হক মুসা (তালহা) নামের চার বছরের এক শিশুকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। নিহত শিশুটি গুজাউড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় লোকজন আব্দুল হালিম নামের এক নেশাগ্রস্ত যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে।

পুরো ঘটনাটি পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরা ধরা পড়েছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু তালহা শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া আব্দুল হালিম নামের নেশাগ্রস্ত ওই যুবক প্রথমে তাকে লাথি দিয়ে মাটিয়ে ফেলে দেয়। এরপর একটি ভারি পাথর দিয়ে তালহার মাথায় উপর্যুপরি অন্তত পাঁচবার আঘাত করে। এতে হালিমের মাথা থেতলে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পাশের বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত তালহাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনিত হলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তালহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নৃশংস এ ঘটনার পর পুলিশের সামনেই জনরোষে পড়েন হালিম। শিশুটির উত্তেজিত স্বজনরা তার কাছে জানতে চান, কেন তাকে হত্যা করল সে? এ সময় একটি ইজিবাইকে বসিয়ে রাখা হালিম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন।

শিশুটির এক স্বজন তাকে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে সে বলে, পুলিশে ফোন দাও। শিশুটির এক চাচা জিজ্ঞাসা করেন, আমার ভাতিজাকে কেন মারলি? জবাবে হালিম বলেন, মারিছি, মনের কষ্টে মারিছি।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. শহীদুর রহমান বলেন,‘ ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। একটি শিশুকে এভাবে কেউ খুন করতে পারে ? স্থানীয় লোকজন এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে একেক সময় একেক কথা বলছে। তবে পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরায় ঘটনা ধরা পড়েছে।’

ওআ/