ন্যাভিগেশন মেনু

মার্কিন ড্রোন হামলায় কাবুলে হামলার পরিকল্পনাকারী নিহত


আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের গেটে হামলার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদী গোষ্ঠীর একটি শাখার একজন পরিকল্পনাকারীকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে নানগারহার প্রদেশে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) আত্মঘাতী হামলার পর আফগানিস্তানে এটিই প্রথম মার্কিন ড্রোন হামলা।

এর আগে সন্ধ্যায় জোড়া আত্মঘাতী হামলায় এ পর্যন্ত ১৭০ জন মানুষ ও ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন।

আইএস-কে বা খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেট মূলত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি শাখা। এটি আফগানিস্তানের সব জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সহিংস।

মার্কিন সেনাবাহিনী বলছে, তারা পূর্ব আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইসলামিক স্টেট জিহাদী গোষ্ঠীর একটি শাখার একজন পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে। নানগারহার প্রদেশে অবস্থানরত আইএস-কে গ্রুপের এই 'পরিকল্পনাকারীকে' লক্ষ্য করেই অভিযানটি চালিয়েছে তারা। এই হামলায় কোনও বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়নি।

সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, 'আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে আমরা পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করতে পেরেছি। এছাড়া আমাদের জানামতে বেসামরিক কেউ হতাহত হয়নি।'

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে।

শুক্রবার হামলাকারীদের সতর্ক করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন। 'আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা ভুলবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো এবং এজন্য তোমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।'

উল্লেখ্য, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে পুরুষ, নারী এবং শিশুদের ভিড়ে বোমা বিস্ফোরণটি ঘটে। দেশ ছাড়ার চেষ্টা করা বেশ কয়েকজন আফগান ওই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা সেইসঙ্গে দুই ব্রিটিশ নাগরিক এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিকের শিশুও ছিলেন।

এদিকে আইএস-কে বলছে, তারা কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলা চালায় যেখানে ১৭০ জন মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৩ জন আমেরিকান সৈনিকও ছিল।

তালেবান এ মাসের গোড়ার দিকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে গণ-উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্তির যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তা শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। এরই মধ্যে গত দু সপ্তাহে সেখান থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা রয়েছে।

এস এ/এডিবি/