ন্যাভিগেশন মেনু

মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, এএসপিসহ ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা


দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রংপুরের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় রংপুর বিভাগীয় পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যর নিদের্শে পুলিশের একটি ৫ সদস্যর কমিটি গঠন করে আটককৃত সিআইডি পুলিশের ৩ সদস্যকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আলাদতে সোর্পদ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ৩ সিআইডি পুলিশ সদস্য দিনাজপুর পুলিশ সুপার কাযার্লয়ে রাখা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন - সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

ভুক্তভোগীদের স্বজন ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ২৩ আগস্ট আনুমানিক রাত ৯টায় চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মারপিট করে মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়।

জহুরা বেগমের বাড়ির লোকজন র‍্যাব, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় আটকের বিষয়ে খোঁজ নেয়। কিন্তু কেউ আটকের বিষয়ে কিছু বলতে পারে না। পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে জহুরা বেগমের স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজানের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

মঙ্গলবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সামনে স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধারে মুক্তিপণের টাকা দিতে যায় স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজান আলী। তাদের সাথে সিভিল পোশাকে পুলিশ রয়েছে টের পেয়ে অপহরণকারীরা সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ১০ মাইল নামক স্থানে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

অভিযানে জেলা পুলিশ ও চিরিরবন্দর থানার পুলিশ অংশ নেয়।

আটকের পর পুলিশ জানতে পারে অপহরণকারীদের মধ্যে রংপুর সিআইডি জোনের এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল রয়েছে। তাদেরকে দিনাজপুর ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে।

অপহৃত মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকেও ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

এএস/এমআইআর/এডিবি/