ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে অমাবস্যার প্রভাবে বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে স্থানীয় পায়রা, শ্রীমন্ত ও বেড়েরধন নদীর পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাবে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের সিকদার বাড়ি সংলগ্ন বেড়েরধন নদীর তিনটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। তলিয়ে যায় পুকুর ও মাছের ঘেরসহ আমনের বীজতলা এবং আউশের ক্ষেত।

এ ছাড়াও সুবিদখালী-জলিশা সড়ক উপচে পানির তীব্র স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়েরধন নদীর বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী এ সড়কটি এখন পর্যন্ত মেরামত না হওয়ায় প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে লোকালয়ে পানি ঢুকে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ফলে পুকুর ও মাছের ঘেরসহ আমনের বীজতলা, আউশের ক্ষেত ও রবি শস্যের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এতে প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের।

এ ছাড়াও উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। ফলে অসুস্থ রোগীসহ জরুরি পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটে। অনতিবিলম্বে এই বাধ ও রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং যেখানে বেড়িবাঁধ প্রযোজ্য সেখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হবে।

এআরএস/এসএ/এডিবি/