ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে মা ও শিশু হাসপাতাল উদ্বোধনের ৩ বছরেও চালু হয়নি


হাসপাতালের ভবন, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, প্রচুর রোগী, চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও আছে। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এ অবস্থা বিরাজ করছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে নির্মিত একমাত্র মা ও শিশু হাসপাতালে।

একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, একজন পাহারাদার ও ঝাড়ুদার দিয়ে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। অথচ ১০ শয্যার এ হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেও নিয়োগ দেয়নি প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী। সরবরাহ করা হয়নি কোনও চিকিৎসাসামগ্রী।

এদিকে কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র এবং চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ এই এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোসা. শিরীন আক্তার।

তিনি জানান, এখানে লোকজন কম থাকায় অনেকটা নিরাপত্তাহনীতায় ভোগেন। অবশ্য একজন নৈশপ্রহরী ও সুইপার এখানে কর্মরত আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম, বাবুল মুন্সী, আদনান হোসেন শাওন খানসহ অনেকেই জানান, চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করেছে। কিন্তু সরকারের সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।

তারা বলেন, 'তিন বছর আগে ভবনসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ শেষে উদ্বোধন হলেও চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয়সংখ্যক জনবল না থাকায় গরীব সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা থেকে। এ চিকিৎসাসেবা, বিশেষ করে সিজারিয়ানের ব্যবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই। যেতে হয় জেলা সদর পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, যা সাধারণ গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমাদের অনেক রোগী জরুরি চিকিৎসার অভাবে মারাও যায়। আমরা সকলেই চাই হাসপাতালটিতে দ্রুত পূর্নাঙ্গ চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হোক।'

মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, 'এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একজন মেডিক্যাল অফিসার, টেকনিশিয়ান, সেবিকা নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দপ্তরের। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, তা আমার জানা নেই। কিন্তু ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সার্ভিসটি চালু রয়েছে।

এআরএস/সিবি/এডিবি/