ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে মিটার না দেখেই বিল, ভোগান্তিতে গ্রাহক


মির্জাগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ইচ্ছামাফিক বিলের কারণে হয়রাণির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার রিডিং না দেখে বিল করায় প্রায় মাসেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ইউনিট বেশি হলেই গ্রাহকদের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।

ভুতুরে বিল আসা মাধবখালী ইউনিয়নের মুন্সীরহাট বাজার সংলগ্ন গ্রাহক মো. হারুন অর রশিদের বিল কাগজে দেখা যায়, জুলাই মাসে আবাসিক মিটারে ০ ইউনিট দেখিয়ে তার বিল এসেছিল ৪২ টাকা। ডিমান্ড চার্জ ৩০টাকা, মিটার ভাড়া ১০ ও ভ্যাট ২ টাকা। জুলাই মাসের বিল তিনি পরিশোধ করেননি। আগস্টের বিলে ব্যবহারযোগ্য ইউনিট আসে ৩৫০। যার মূল্য আসে ১ হাজার ৯৭৬ টাকা। দুই মাসের বিল এক মাসে আসায় তার অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। কারণ ইউনিট কম-বেশি হলে বিদ্যুতের মূল্যেরও পরিবর্তন ঘটে।

বিদ্যুত অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ১৯ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ পর্যন্ত ৫ টাকা ৭২ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ৬ টাকা ও ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ৬ টাকা ৭৪ পয়সা মূল্যে তারা অফিস থেকে বিল কাগজ প্রস্তুত করেন।

এই হিসেবে হারুন অর রশিদের আগস্ট মাসের বিলে প্রতি ইউনিট সর্বোচ্চ মূল্য ৬.৩৪ টাকায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমাসেই কোনও না কোনও গ্রাহকের ভুতুরে বিল আসে।

গ্রাহক হারুন অর রশিদ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, 'জুলাই মাসে আমার ব্যবহারযোগ্য ইউনিট হতে পারে ১৩০ থেকে ১৪০ ইউনিট, আগস্ট মাসে ও ১৫০ থেকে ১৮০ ইউনিট। যার প্রতি ইউনিটের মূল্য ৫ টাকা ৭২ পয়সা। এখন আগস্ট মাসে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে বেশি ইউনিট করে বিল পাঠিয়েছে। যা প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৩৪ পয়সা মূল্যে আমার পরিশোধ করতে হচ্ছে। এটা পল্লী বিদ্যুতের এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। মিটার রিডিং দেখে বিল করার দায়িত্বে যারা আছেন তারা বাড়িতে গিয়ে রিডিং না দেখে বিল করেন।'

মির্জাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের ইনচার্জ মো.মোতাহার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই গ্রাহক বিল কাগজ নিয়ে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআরএস/সিবি/এডিবি/