ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে সেতু ভেঙে খালে, ৭ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৩০ বছরের পুরনো একটি লোহার সেতু ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সাতটি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

শনিবার (১৯ জুন) উপজেলা চেয়ারম্যান খাঁন মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের চলাচলের কষ্ট লাঘবে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার চত্রা-চরখালী সড়কের মধ্যবর্তী চত্রা খালের উপরের এই সেতুটি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। সেতুর নিচের লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে অনেক আগেই ভেঙে যায়। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভিজে সেতুর স্ল্যাব নরম হয়ে হঠাৎ এটি ভেঙে পড়ে।

এই সেতু ভেঙে পড়ায় উপজেলা সদরে আসতে অতিরিক্ত প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এতে সময় এবং অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে যানবাহন ঢুকতে না পারায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় কৃষক-শ্রমিক ও ছাত্র-ছাত্রীসহ খেটে খাওয়া মানুষ।

তারা আরও জানান, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি উত্তর চত্রা, দক্ষিণ চত্রাসহ ৭ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শেখ আজিম উর-রশিদ বলেন, চত্রা খালের উপর সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র আহ্বান করে অতিশীঘ্রই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান খাঁন মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী জানান, 'স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভাঙ্গা ওই ব্রিজটিসহ উপজেলায় প্রায় চার শতাধিক ঝুকিপূর্ণ ব্রিজ আছে। এই ব্রিজগুলো ভেঙে নতুন করে যাতে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা হয় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হবে।'

এআরএস/সিবি/এডিবি/