ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে সড়কে গর্ত, দুর্ভোগে এলাকাবাসী


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা মহাসড়ক সংলগ্ন চৈতা-চাকরখালী সড়কে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২ আগস্ট চৈতা মোড় থেকে এক কিলোমিটার সামনে সড়কের দুইপাশে ৫-৬ ফুট প্রশস্ত এই গর্তের সৃষ্টি হয়।

গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কে গর্তের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সড়ক ব্যবহারকারী কয়েকটি এলাকার হাজারো মানুষ। স্থানীয় যুবকরা সড়কে গর্তের ছবিসহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ওই এলাকার অটোরিকশা চালকরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে গর্তে কাঠের গুড়ি ফেলে ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে ছোট যানবাহন সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

সড়কে চলাচলরত একাধিক পথচারী জানান, ‘কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও সড়ক সংলগ্ন চৈতা খালের জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় সড়কে এই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে গর্তটি ছোট ছিল। পরে ভারী বৃষ্টিপাত হলে সড়কের উপরে বৃষ্টির পানি জমে ও গর্ত দিয়ে পানি চলাচল করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’

অটোরিকশা চালক কবির মৃধা বলেন, ‘সড়কের দুইপাশে গর্ত হয়ে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ও ভ্যানসহ কোনও গাড়িই চলাচল করতে পারছিলো না। যাত্রীরা ছিল চরম দুর্ভোগে। গত মঙ্গলবার আমরা অটোচালকরা কাঠের গুড়ি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি। কাঠের গুড়ির ওপর দিয়ে বড় ধরনের কোন যানবাহন যেতে পারছেনা।’

চাকরখালি বাজারের ব্যবসায়ী শামিম মিয়া জানান, ‘এ সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। দুই-একদিনের মধ্যে সড়কের গর্তটি বালু বা মাটি দিয়ে ভরাট করা না হলে এ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে কোন যানবাহন আসতে পারবেনা।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)শেখ আজিম-উর রশিদ বলেন, ‘জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় সড়কের প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। শীঘ্রই দরপত্রসহ অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করে সড়কটি সংস্কার করা হবে।’

এমএআরএস/এমআইআর/এডিবি/