ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে হাসপাতাল সড়কে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে উপজেলাবাসী


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ গেট থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত সড়কটি (হাসপাতাল সড়ক) এখন উপজেলাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির প্রবেশদ্বার কাদা আর পানি একাকার হয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে এই ময়লা পানি পেরিয়ে মানুষকে হাসপাতালে যেতে দেখো যায়।

এ ছাড়াও সড়কটির দুপাশে রয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, রিসোর্স সেন্টার, ডাকঘর, বিআরডিবি কার্যালয়, সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়, ৫০০ আসন বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ও একটি বেসরকারি ক্লিনিক।

প্রতিদিন এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রায় সহস্রাধিক লোক এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসেন। কিন্তু সড়কটির এমন বেহাল দশার কারণে সেবা নিতে আসা মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলেও বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে।

দেখা যায়, সড়কটির প্রবেশদ্বার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একমাত্র ফটক এবং উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে কাদা আর ঘোলা পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সকালে বৃষ্টি হলে সারাদিনে আর সে পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই। এটি ছাড়া উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া আসার বিকল্প কোনও সড়ক নেই। তাই এই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির উপর পেরিয়েই মানুষ যাওয়া-আসা করছেন।

হাসপাতালে আসা এক রোগী বলেন, 'ডাক্তার দেখাতে হাসপাতাল যাওয়ার সময় কাপড় গুটিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা পাইনি! হঠাৎ পাশ দিয়ে একটি গাড়ি এসে কাদা পানি ছিটিয়ে দেয়। এতে আমাদের জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায় এবং ময়লা পানি লাগায় এখন পা চুলকায়। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বৃষ্টি এলেই এভাবে পানি থাকে।  গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের প্রবেশদ্বারের এই জলাবদ্ধতা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও মাথাব্যথা নেই! এটা ভাবা যায় না।'

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা বলেন, 'রাস্তাটির ব্যাপারে মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করেছি। তিনি খুব শিগগিরই রাস্তাটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম-উর রশিদ বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও বরাদ্দ পাইনি। আমরা চেষ্টা করছি সামনের এই অর্থবছরে রাজস্ব অথবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য।

এআরএস/সিবি/এডিবি/