ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে দু'চোখ ভরা স্বপ্ন আর দুর্ভেদ্য কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে ধরা পড়ায় ফের নিজের দেশে ফিরে যেতে হলো ভারতীয় তরুণী প্রিয়া কর্মকারকে। ফলে অপূর্ণ রইল ঘর বাধার স্বপ্ন।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় নাগরিক প্রিয়া কর্মকার (২০) বাংলাদেশে আসলে তার প্রেমিক সৌরভ সরকারসহ ৭ জন বাংলাদেশিকে যশোরের চৌগাছা সীমান্ত থেকে আটক করে বিজিবি।
প্রিয়া ছাড়া আটক অন্যরা হলেন, তার প্রেমিক যশোরের শার্শা উপজেলার কানাই নগর গ্রামের শঙ্কর সরকারের ছেলে সৌরভ সরকার (২৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (২২), ঝিকরগাছার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে সুজন (২০), রফিকুল ইসলামের ছেলে জালাল উদ্দীন (১৮), একই গ্রামের নোমান হোসেন (২৭) তাদের বহনকারী ইজিবাইক চালক একরামুল (২০) ও সীমান্ত এলাকায় আশ্রয়দাতা চৌগাছার গদাধারপুর গ্রামের মৃত আজম আলীর ছেলে আখের আলী (৫৫)।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ৪৯ বিজিবি যশোরের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবুল হাসান মো. তৌফিক মাহমুদ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের গদাধারপুর গ্রাম থেকে হিজলি ক্যাম্পের জোয়ানদের হাতে আটকের পরে ভারতীয় নাগরিক প্রিয়া কর্মকারকে প্রথমে স্থানীয় ইউপি সদস্য শিমুল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়। পরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ভারতে তার স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য শিমুল হোসেন।
ভারতীয় নাগরিক প্রিয়া কর্মকার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার টেংরাইল গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুই ভাই-বোন। ভাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য। আত্মীয়তার সূত্রে সৌরভ-প্রিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আটকদের মধ্য প্রিয়া কর্মকারকে শুক্রবার বিকেলে বিজিব ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১০৭ বিএসএফের উত্তর বয়রা কোম্পানি সদরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশের সহায়তাকারী সৌরভসহ আটক অপর সাতজন বাংলাদেশি নাগরিককে চৌগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টার অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে মামলা করেছে বিজিবি। আজ (২৮ আগস্ট) আটকদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এডিবি/