ন্যাভিগেশন মেনু

মুকুল কম আসায় লিচুর ফলন কমের আশংকায় ঈশ্বরদী চাষীরা


গাছে গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় এবার লিচুর ফলন কম হবে বলে ধারণা করছেন বাগান মালিকরা। বোম্বাই লিচুর জন্য প্রসিদ্ধ ঈশ্বরদী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

মুকুল কম আসায় বাগান মালিক ও লিচুচাষীরা লোকসানে পড়বেন বলে অনেকে জানিয়েছেন।

তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মুকুল কম এলেও যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে চাষীরা লোকসানে পড়বেন না, বরং লাভবান হবেন।

উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের কৃষক শাহীন সরদার আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, তার ২৪টি লিচু গাছ রয়েছে। প্রতিবছর গাছের পরিচর্যা ও অন্যান্য খরচ বাদেও এক থেকে দেড় লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এবার ১৫টি গাছে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসায় সেই পরিমাণ টাকা পাবেন না বলে তিনি জানান।

সলিমপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, বাড়ির আশপাশে তাদের ৪৫টি লিচু গাছ রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এসব গাছ থেকে প্রতিবছর খরচ বাদে এক থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু এবার নতুন পাতা আসায় এবং মুকুলের পরিমাণ কম হওয়ায় ৫০ হাজারের মতো টাকা আসবে বলে তিনি মনে করছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় এ বছর তিন হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলার ছলিমপুর, সাহাপুর, লক্ষ্মীকুন্ডা ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নে লিচু আবাদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়াও মুলাডুলি, পাকশী, সাঁড়া ইউনিয়ন ও পৌর এলাকাতে লিচুর আবাদ বেড়ে চলছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের জন্য উপযোগি হওয়ায় গত ৩০ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে লিচুর আবাদ হয়ে আসছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, লিচু এ এলাকার অন্যতম প্রধান অর্থকারী ফল। বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ করে এখানকার মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। এখানে তিন হাজার হেক্টর জমিতে তিন লাখ লিচুর গাছ রয়েছে। ফলন্ত প্রতিটি গাছে ৩ হাজার থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত লিচু ধরে। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক কারণে মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসায় লিচুর আবাদ কিছুটা কম হবে।

কেএইচ/সিবি/এডিবি/