ন্যাভিগেশন মেনু

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা


বীর মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা ভোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুক্তিকযোদ্ধা বিষয়ক ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে, যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলা হচ্ছে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলন চলাকালে প্রধান একটি বক্তব্য ছিল, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি হয়েছে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তালিকা প্রস্তুতির পর দেখা হবে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না দেখা হবে।  

তিনি বলেন, মামলা আছে, প্রায় তিন হাজার ৭০০ মত মামলা আছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কারা, তা নির্ধারণ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করে।  

তিনি আরও বলেন, আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে। এ নিয়ে যখন একটি পর্যায়ে যাব, তখন সিদ্ধান্ত জানাব, যাতে মুক্তিযোদ্ধারা ন্যায্যভাবে তাদের সম্মানটা ফিরে পান। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা করে এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারি না। এর চেয়ে গৌরবের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সনদ নিয়েছেন, প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কেন নেব না? জাতির সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়ে থাকেন, তা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, তারা অপমানবোধ করছে বিষয়টি নিয়ে। এ থেকে তাদের পরিত্রাণ পাওয়া উচিত।