ন্যাভিগেশন মেনু

মুজিববর্ষের উপহার, সড়কে বাতি স্থাপন বদলে গেছে ঠাকুরগাঁও শহরের রাতের দৃশ্য


বদরুল ইসলাম বিপ্লব

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওবাসীকে আলোকিত সড়ক উপহার দেয়ার অংশ হিসেবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে স্ট্রিট লাইট বা সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে।

এতে বদলে গেছে শহরের রাতের চিত্র। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপদ বিভাগের দাবি জেলা শহরের ৬ কিলোমিটার রাস্তায় এসব বাতি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।

১৯৬০ সালে ৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার যাত্রা শুরু  হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ২য় শ্রেণীর পৌরসভা থেকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয় এটি। পৌরবাসির  নাগরিক সুবিধার অন্যতম উপাদান হিসেবে রাস্তায় সড়ক বাতি  থাকার কথা থাকলেও এখানে সড়ক বাতি তেমন একটা ছিলনা। ছিটেফোটা ২/১ টা বাতি থাকলেও পৌরবাসী তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। রাত ১০ টার দিকে শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে বা হরতাল অবরোধের দিনে সন্ধার পরপরই অন্ধকারে গহব্বরে হারিয়ে যেত ঠাকুরগাঁও জেলা শহর। এ সময়ে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটতো যত্রতত্র।

এ অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড হতে ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত ডিভাইডারের মাঝখানে সড়ক বাতি স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের ঐকান্তিক চেষ্টায় ৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে জেলা শহরের ৬ কিলোমিটার রাস্তায় সড়ক বাতি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় গত আগষ্ট মাসে।ইতোমধ্যে প্রকল্পের নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হতে গোবিন্দনগর পর্যন্ত সড়ক বাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।বাকি কাজ শেষ করতে আরও ১৫দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

প্রকল্পের অর্ধেক অংশে ইতোমধ্যে ৩৫ ফুট লম্বা জিআই পাইপে রাস্তার উভয় পার্শে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এতে সন্ধার পর আলোক উজ্জল হয়ে উঠছে এই জেলা শহর। আলোর ঝলকানিতে পাল্টে গেছে রাতের চিত্র। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শহরে নাগরিকরা।

অনুপম মনি নামে একজন ব্যাংকার বলেন, ‘এতোদিন আমরা ভুতুড়ে অবস্থায় ছিলাম। রাতের বেলা দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে এবং হরতাল বা অবরোধের দিনে সন্ধার পরপরই অন্ধকারে ঢেকে যেত ঠাকুরগাঁও শহর। এখন রাতের বেলায় নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাচল করতে ভালই লাগছে।’

অটোচালক ফারুক হোসেন বলেন, রাতে  অন্ধকারের  কারণে রাত ১০ টার পর চলতে ভয় করত। যে কোন সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকত। এখন দূর থেকে দিনের মতো দেখা যায়। এতে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।

এমআইআর/ওআ