ন্যাভিগেশন মেনু

মুঠোফোন হাতে আসার পর বদলে যেতে থাকে নাবিলার জীবনযাত্রা


নারী হয়েও ঘরকন্না করা নয়- তার মাঝে কাজ করতো নতুন কিছু চমক দেওয়া। তাই সে সাধারণ জীবন ছেড়ে বেছে নেয় ফিদায়েঁ জঙ্গি হয়ে ওঠার স্বপ্ন। আর সেই রক্তাক্ত পথে পা দিয়ে বাংলাদেশে আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগ দেয় জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সদ্য গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মহিলা সদস্য জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা

আদালতে ১৬৪ ধারায় ভয়ংকর জঙ্গি হওয়ার জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার মহানগর হাকিম শাহিনুর ইসলাম তার খাস কামরায় নাবিলার জবানবন্দি নেন বলে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মহম্মদ জাফর হোসেন। জোবায়দা সিদ্দিকা নাবিলার বয়স মাত্র ১৯ বছর।এই জঙ্গি সংগঠনটিতে এর আগে কোনও মহিলা সদস্য ছিলনা।  

নাবিলা জানায়, মুঠোফোন হাতে আসার পর বদলে যেতে থাকে তার জীবনযাত্রা। নাবিলার জন্ম ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ গ্রামে। মাধ্যমিক পাস করার পর জোবাইদা আর কলেজে ভর্তি হতে চাননি, চেয়েছিলেন কোরআনের হাফেজ হতে। 

করোনাকালীন অনলাইনে ক্লাস করার অজুহাতে একটি স্মার্টফোন কেনার জন্য পরিবারের কাছে আবদার করে নাবিলা। গত বছরের শুরুতে তাঁর পরিবার ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি স্মার্টফোন কিনে দেয়। এরপর জোবাইদার বেশির ভাগ সময় কেটেছে ঘরে। বড় একটা সময় কাটাত স্মার্টফোনে। 

পরিবারের সদস্যদের বলতেন, অনলাইনে সে লেখাপড়া করছে।জোবাইদার মা খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুলে পড়লেও পারিবারিক আবহের কারণে ছোটবেলা থেকে নামাজ পড়ত। জোবাইদার মা দাবি করেন, জোবাইদা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে, সেই বিষয়টি তিনি কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানতেন না।তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জোবাইদার জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি তাঁর পরিবার টের পেয়েছিল। এ জন্য একবার জোবাইদার কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এতে জোবাইদা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন। পরে আবার তাঁর কাছে মুঠোফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এস এস