ন্যাভিগেশন মেনু

মৃত স্বামীর শুক্রাণু থেকে সন্তান জন্মদান


মৃত স্বামীর শুক্রাণু থেকে সন্তানের জন্ম দিলেন এক স্ত্রী। তারা হলেন- লেনি কেহন্ট ও জেরেমি কেহন্ট দম্পতি। তারা যখন সন্তান নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন স্বামী জেরেমি যেন ধূমপান ছেড়ে দেন, সে জন্য নিয়মিত তাকে অনুরোধ করতেন স্ত্রী লেনি।

২০১৬ সালের মে মাসে স্ত্রী লেনিকে পাঠানো এক মোবাইল বার্তায় তিনি ধূমপান ছেড়ে দেবেন বলে জানান। এই মোবাইল বার্তায় স্ত্রীর কাছে আরেকটি অদ্ভুত অনুরোধও করেন জেরেমি।

তিনি লেখেন, আমি যদি কখনও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে কোমায় চলে যাই, অথবা ব্রেইন ডেড হয়ে যাই; তা হলে আমাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁচিয়ে রাখবে এবং আমার শুক্রাণু নিয়ে সন্তান জন্ম দেবে।

মৃত্যুর আগের এই মোবাইল বার্তা অদ্ভূদ হলেও মাস দুয়েকের মধ্যেই এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায় জেরেমি। জেরেমির মৃত্যুর পর তার পাঠানো মোবাইল বার্তার কথা মনে পড়ে লেনির।

তখন লেনি তার মা, খালা ও বন্ধুদের বিষয়টি জানায়। কিন্তু ততক্ষণে জেরেমির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। লেনি তখনও নিশ্চিত ছিলেন না যে তার শরীর থেকে শুত্রাণু নেয়া আদৌ সম্ভব হবে কিনা। সেই সময় ইউরোলজিস্ট ক্যাপি রথম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।

ডাক্তার রথম্যানও নিশ্চিত ছিলেন না যে জেরেমির দেহ থেকে শুক্রাণু নিয়ে এলেই কার্যকরভাবে তা লেনির ডিম্বাণুতে প্রবেশ করিয়ে সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব হবে কিনা।

শুক্রাণু ৩২ বছর সংরক্ষণ করে রাখার পরও তা থেকে সন্তান জন্ম নিতে পারে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা আগে মৃত ব্যক্তির শুক্রাণু কতটা কার্যকরভাবে কাজ করবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।

জেরেমির মৃতদেহ থেকে শুক্রাণু বের করে লেনির গর্ভে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রক্রিয়াটির পেছনে ছিলেন ডা. রথম্যান।

জেরেমির মৃত্যুর ৪৪ ঘণ্টা পর তার বীর্য নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু তার শুক্রাণু তখনও জীবিত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল চিকিৎসকদের। তবে সব সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে জেরেমির মৃত্যুর ১১ মাস পর লেনির একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়।

জেরেমির মৃত্যুর দুই বছর হয়ে গেলেও এখনও তার শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। লেনি যদি ভবিষ্যতে আবার জেরেমির সন্তানের মা হতে চান, তা হলে ওই শুক্রাণু ব্যবহার করা হবে।

এস এস