ন্যাভিগেশন মেনু

মেক্সিকো উপকূলে দৈত্যাকার ‘ভূমিকম্পের মাছ’


নামের কি বাহার, তা না শুনলে বুঝতে পারা মুশকিল। অনেক সময় ওইসব 'বাহারী' নামের আড়ালে হারিয়ে যায় আসল নাম।

তেমনি একটি মাছের নাম ‘ভূমিকম্পের মাছ’।

এই ‘ভূমিকম্পের মাছ’ দেখা গেছে মেক্সিকো উপকূলে। তাহলে কি আবার প্রবল কম্পন আর সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় আসন্ন?

২০১১ সালে জাপানের সুনামির স্মৃতি উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া দৈত্যাকার এই ‘ভূমিকম্পের মাছ’। আর তারপরই এই আশঙ্কায় ধুকপুকানি শুরু হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবারও কি তেমন বিপর্যয়ের দিন ঘনিয়ে এল? প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছেন তারা।

কিন্তু কী এমন সেই মাছ, যা দেখে এতটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো? ১৩ ফুট লম্বা মাছটি আসল নাম ‘ওর ফিশ’। এটি সামুদ্রিক মাছ। মুখটা দেখতে অনেকটা হাঙরের মতো। গায়ের রং রুপালি। উপকূলে খুব একটা দেখা যায় না। আর সে কারণেই বোধহয় সমুদ্রসৈকতে এর আবির্ভাব অশনি সংকেত বলে ধরে নেওয়া হয়।

যেমন, ২০১১ সালের মার্চ মাসে জাপানে ভয়াবহ ভূকম্পন আর সুনামির আগে নাকি সৈকতে দেখা গিয়েছিল ওর ফিশ (Oar Fish)। তারপর থেকেই তার নাম হয়ে যায় ‘ভূমিকম্পের মাছ’।

সেই বিপর্যয়ের কথা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রা ভূমিকম্প আর তার হাত ধরে আসা সুনামি, সমুদ্রের ৪০ মিটার উচ্চতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেকগুলো দ্বীপ। নিমিষেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

জাপান সরকারের হিসেব অনুযায়ি মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। আর এই সমুদ্র দানবের হাত ধরে ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্পেও ঘনিয়েছিল বিপদ। নিউক্লিয়ার চুল্লি লিক হয়ে সেখান থেকে বিষাক্ত পারমাণবিক গ্যাস বেরিয়ে সংলগ্ন এলাকাকে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। এই বিষাক্ত গ্যাসেও কম মানুষের মৃত্যু হয়নি।

৯ বছর পর ফের সেই স্মৃতিই উস্কে দিলো মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া ওর ফিশ। ফার্নান্দো কেভালিন ও ডেভিড জাবেদোরস্কি নামে দুই যুবক মাছটিকে আবিষ্কার করে সৈকতের একেবারে ধারে। এতো লম্বা মাছ, দু’জনে দু’দিকে ধরে তারা ছবিও তোলেন। তারপর মাছটিকে সমুদ্রে ছেড়ে দেন তারা। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ছড়িয়েছে ত্রাস।

তবে ফার্নান্দোর মতে, এই মাছ নাকি প্রোটিনে পরিপূর্ণ। অন্যান্য অঙ্গও বেশ কার্যকরী। তা সত্ত্বেও এই মাছের আবির্ভাব অশুভ বলেই মনে করে স্থানীয় মানুষ। সুত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এডিবি/