ন্যাভিগেশন মেনু

মোংলা বন্দরে নতুন চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু


বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিংকৃত নতুন চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

বর্তমান সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে মোংলা এখন ক্রমশই উন্নতির দিকে ধাপিত হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দরের অ্যাংকোরেজ এলাকায় ১০.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের উদ্দেশ্যে ‘মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৭১২.৫০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।

প্রকল্প অনুমোদনের পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে হংকং রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কর্পোরেট জেভি এর সাথে ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর হতে ঠিকাদার কোম্পানি ড্রেজিং শুরু করে।

ড্রেজিং এলাকাটি দুইটি সেকশনে বিভক্ত। যার মধ্যে একটি সেকশন হিরণ পয়েন্ট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটা দক্ষিণে উন্মুক্ত সাগরের মধ্যে এবং অপর সেকশন হিরণ পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।

সমুদ্রের মাঝের সেকশনটি সম্পূর্ণ এবং হিরণ পয়েন্ট সংলগ্ন সেকশনটির প্রায় ৮৫ শতাংশ ড্রেজিং শেষ হওয়ায় ফেয়ারওয়ে বয়া হতে হিরণ পয়েন্ট পর্যন্ত সম্পূর্ণ চ্যানেলে ৮.৫ মিটার সিডি গভীরতাসম্পন্ন চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই চ্যানেলটি বর্তমানে ব্যবহৃত চ্যানেলের পশ্চিমে বঙ্গবন্ধু চরের পাশে অবস্থিত। বর্তমানে বিদ্যমান চ্যানেলে ফেয়ারওয়ে বয়া হতে হিরণ পয়েন্ট পর্যন্ত কিছু স্থানে সর্বনিম্ন ৬.৫ মি. সিডি গভীরতা থাকায় বেশি ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে আসতে পারতো না। অথচ হিরণ পয়েন্টের পর হতে হারবাড়িয়া অ্যাংকোরেজ পর্যন্ত ৮.৫ মি. সিডির অধিক গভীরতা রয়েছে এবং কিছু অ্যাংকোরেজে ১০.৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং করার জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা আছে। শুধুমাত্র আউটার বারের সীমাবদ্ধতার জন্য বন্দরের অ্যাংকোরেজে বেশি ড্রাফটের জাহাজ আনা যেতো না।

এছাড়া বর্তমান চ্যানেলটি বেশ আঁকাবাকা। আউটার বারে ৮.৫ মিটার সিডি গভীরতায় ড্রেজিংয়ের ফলে জোয়ারের সময় বন্দরে এখন ১০.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসার সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন ড্রেজিংকৃত চ্যানেলে নেভিগেশন বয়া স্থাপন করার পর গত  ১৭ নভেম্বর হতে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। নতুন চ্যানেলটি অপেক্ষাকৃত সোজা হওয়ায় সেখান দিয়ে বন্দরে জাহাজ আসতে সময় কম লাগছে এবং জাহাজ নিরাপদে আসতে পারছে। এর ফলে বন্দরে জাহাজের সংখ্যা ও রাজস্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

এ পর্যন্ত উক্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট কাজ প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যেই শেষ হবে বলে জানা গেছে।

এমআইআর/এডিবি