ন্যাভিগেশন মেনু

মোদির শপথে থাকবেন রাষ্ট্রপতি হামিদ


আগামী ৩০ মে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। সোমবার রাতেঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল। পরে এতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে মোজাম্মেল হক বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে থাকছেন। ড.  মোমেন জানান, এবার স্পিকারের পূর্বনির্ধারিত আরেকটি অনুষ্ঠান থাকায় তিনিও দিল্লি যেতে পারবেন না।

এদিকে জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড-তিন দেশ সফরের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে এবারও যোগ দিতে পারছেন না।

তবে ওই তিন দেশ সফর শেষে ৮ জুন ঢাকা ফেরার পথে নয়াদিল্লিতে যাত্রা বিরতি কররেন শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা অনুযায়ী হেলসিংকি থেকে ৮ জুন স্থানীয় সময় ভোর ছয়টা নাগাদ নয়াদিল্লি পৌঁছবেন এবং ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ত্যাগ করবেন।

শেখ হাসিনা এই ১২ ঘণ্টার যাত্রা বিরতিকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎসহ আরো কর্মসূচি থাকতে পারে। এটা কোনো দ্বিপক্ষীয় সফর নয়, এই যাত্রা বিরতিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ‘গুড উইল এক্সচেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সূত্র।

 গত ২৩ মে লোকসভা অভাবনীয় সাফল্যের পর টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন দুই নেতা ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিতে একমত হন।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা বিরতি, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতসহ সংক্ষিপ্ত সফরসূচি নিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন ঢাকা ও নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রকেরআধিকারীকরা।

এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। কাকতালীয়ভাবে ২০১৪ সালেও নরেন্দ্র মোদির শপথের দিন প্রধানমন্ত্রী জাপানে ছিলেন। তাই এবার ফিনল্যান্ড থেকে ফেরার পথে দিল্লিতে ১২ ঘণ্টার যাত্রাবিরতিতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।