ন্যাভিগেশন মেনু

মৌলভীবাজারে চাহিদার চেয়ে মাছের উৎপাদন বেড়েছে


মৌলভীবাজার জেলায় মাছের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক।

শনিবার (২৮ আগস্ট) জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস কর্মকর্তার যৌথ আয়োজনে মৎস্যচাষী,মৎস্যজীবী, রপ্তানিকারক ও উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

সকালে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক মৌলভীবাজারের মৎস্যসম্পদের বর্তমান অবস্থা, উন্নয়ন ও পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক বছর ধরে মৌলভীবাজার জেলা মাছ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত হচ্ছে। জেলায় মাছের চাহিদা বছরে ৪৭ হাজার ৪২৭ মেট্রিকটন। আর ২০২০-২১ অর্থ বছরে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৫১ হাজার ৪৫১ মেট্রিকটন, যা চাহিদার চেয়ে ৪ হাজার ২৪ মেট্রিকটন বেশি উৎপাদন হয়েছে। এ উৎপাদনের ৪০ ভাগ প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে আর ৬০ ভাগ ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাষ করা হয়।

সরকারি ও ব্যক্তিগত মৎস্য হ্যাচারিতে কার্প জাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি উৎপাদন করা হচ্ছে। মৎস্যজীবী ও চাষী এবং মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে জেলেদের নিবন্ধন, ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, উন্মুক্ত জলাশয় ও বিল নার্সারিতে প্রতিবছর পোনামাছ অবমুক্ত, মৎস্য বিক্রেতার লাইসেন্স প্রদানসহ মৎস্য আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

'বেশি বেশি মাছ চাষ করি বেকারত্ব দূর করি'-এ শ্লোগান নিয়ে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার ২৮ আগস্ট থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। 

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে - মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, সফল উদ্যোক্তা ও নারী মৎস্যচাষীদের পুরষ্কার, প্রান্তিক মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবীদের মাছ চাষ বিষয়ে পরামর্শ, সেবাদান ও মতবিনিময়, মাইকিং, প্রচারণা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, পুকুরে মাটি ও পানি পরীক্ষা, আলোচনাসভা ইত্যাদি।

মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর।

পিডি/এসএ/এডিবি/