ন্যাভিগেশন মেনু

ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার তিন দিনের রিমান্ডে


বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাসারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম মারুফ চৌধুরী তাকে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম মারুফ চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ-পুলিশের এসআই শহিদুল আলম আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহ জালাল চুন্নু। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১৩ জুলাই ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে আবুল বাশার মোল্লাকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা।

মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ এবং সুপারভাইজার আব্দুস সালাম তিন দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মর্নিং বার্ডের ৩৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পরের দিন ৩০ জুন রাতে নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন- এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ (৩৩), মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), জাকির হোসেন (৩৯), ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার (৪৫), চালক শাকিল হোসেন (২৮), সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও সুকানি হৃদয় (২৪)।

ওআ/