ন্যাভিগেশন মেনু

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৯ কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে


যশোরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) ভেতরে তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় ৯ কর্মকর্তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) যশাের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেছেন, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ ৯ কর্মকর্তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে থাকা-খাওয়াসহ অভ্যন্তরীণ আরও নানা বিষয়ে অব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর আগে থেকেই অসন্তুট ছিল এই কিশোররা। তার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া এই উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে কর্তৃপক্ষের দুটি গ্রুপে থাকা কিশোরদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হতে পারে বলেও তারা জানতে পেরেছেন। তবে ঠিক কী কারণে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

পুলিশ সুপার বলেন, 'এটা একটা কারাগার। এখানে কোন হত্যা মানে কাস্টডিয়াল ডেথ (হেফাজতে মৃত্যু)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের কোথায় গাফিলতি ছিল, এটা কীভাবে ঘটলো, কারা প্রহার করলো, কারা যুক্ত ছিল, এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। সেখানে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।'

নিহত কিশোরদের পরিবার আজ (শুক্রবার) যশোরের এই উন্নয়ন কেন্দ্রে আসবেন এবং তারা মামলা দায়ের করলে পুরোদমে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের পুলেরহাট এলাকায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত এবং অন্তত ১১ জন আহত হয়। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ হতাহতদের সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত কিশোরদের অভিযোগ, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের বেধড়ক পেটানোর কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ২৭৭ জন কিশোরকে সংশোধনের জন্য রাখা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশ গুরুতর অপরাধের আসামী। নিহত তিন কিশোরের মধ্যে ২ জন হত্যা মামলার এবং একজন ধর্ষণ মামলার আসামী ছিল।

এডিবি/