ন্যাভিগেশন মেনু

যুক্তরাষ্ট্রে বন্যায় ৪৬ জনের প্রাণহানি


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে হারিকেন ইডার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যার ফলে কমপক্ষে ৪৬ জন মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক সিটি এবং শহরতলির ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টির কর্মকর্তারা বলছেন, অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্টে বন্যার পানিতে আটকাপড়ে বা তাদের গাড়িতে আটকা পড়ে প্রায় ১৬ জন মারা গেছেন। 

নিউ জার্সিতে কমপক্ষে ২৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফিল মারফি।

ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, এছাড়া পেনসিলভেনিয়ায় কমপক্ষে পাঁচ জন এবং কানেকটিকাট এবং মেরিল্যান্ডে একজন করে মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোাগ মোকাবেলায় 'ঐতিহাসিক বিনিয়োগ' প্রয়োজন হবে।

পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়েই পরিবেশগত নানা বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে এবং দেশটি এই বিপর্যয়কে 'জীবন-মৃত্যুর সঙ্কট' হিসেবে বিবেচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

নিউ ইয়র্ক শহর এবং নিউ জার্সিতে অভূতপূর্ব মাত্রায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেসব অঞ্চলের অনেক বাসিন্দাই পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। চারটি অঙ্গরাজ্যে দুর্যোগের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

গত রবিবার (২৯ আগস্ট) ঘূর্ণিঝড়টি মূলত লুইসিয়ানাতে ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন হিসেবে উপকূলে আঘাত হানে।

এই হারে ঝড় হওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা, তা এখনো পরিস্কার না হলেও সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়লে তার আশেপাশের বাতাস উষ্ণতর হয়ে ওঠে এবং হারিকেন, সাইক্লোন ও টাইফুন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ এই ধরণের দুর্যোগের সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও তৈরি হয়।

নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেছেন, 'আমাদের মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছানো উচিত যে সবদিক থেকে পরিস্থিতির অবনতি হবে।'

নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর ক্যাথি হচাল মন্তব্য করেছেন: 'আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না যে রাত ৮টা ৫০ থেকে ৯টা ৫০-এর মধ্যে সত্যিকার অর্থে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি হবে এবং নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পানি নিউ ইয়র্কের রাস্তা পর্যন্ত চলে আসবে।'

তীব্র জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টিপাতের ফলে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

নিউ ইয়র্কের সাবওয়ে স্টেশনগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় অনেক স্টেশন বন্ধ ছিল এবং কিছু অংশে সাবওয়ে চলাচলও বন্ধ ছিল।

কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, নিউ ইয়র্কের রাস্তায় গাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং গাড়ির ভেতর থেকে সাহায্যের চিৎকারও শোনা যাচ্ছিল।

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লুইজিয়ানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার ঘরবাড়িতে এখনো কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। নিউ অরলিন্সে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি রয়েছে।

১ সেপ্টেম্বর এতো বৃষ্টিপাত হয়েছিল যে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস নিউ ইয়র্ক সিটি এবং নিউ জার্সির পার্শ্ববর্তী শহর নিউয়ার্কের জন্য প্রথম ফ্ল্যাড ইমার্জেন্সি জারি করেছিল।

এডিবি/