ন্যাভিগেশন মেনু

যুক্তরাষ্ট্র করোনার টিকা দেওয়া শুরু করবে ডিসেম্বরে


যুক্তরাষ্ট্র ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ এ সুখবর দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় রবিবার (২২ নভেম্বর) দেশটির সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ খবর জানান।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আগামী সপ্তাহের থ্যাংকস গিভিং হলিডেতে বাড়িতে অবস্থান করতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছে। কিন্তু লোকজন এ সতর্কতা উপেক্ষা করেই বিমানবন্দরের দিকে ছুটছেন।

এ প্রেক্ষিতে দেশটির সংক্রামক বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যান্থনি ফাউচি সতর্ক করে বলেছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ২ কোটি লোক হয়তো ভ্যাকসিন পাবে। কিন্তু জনগণ হলিডে’র এ সময়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি উন্নতির বদলে আরও খারাপ হতে পারে।

সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘সার্বিক অর্থে আমরা খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আছি’।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক তাদের তৈরি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। এছাড়া মার্কিন কোম্পানি মর্ডানা তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টিকাদান কর্মসূচির প্রধান মুনসেফ সালোয়ি সিএনএনকে বলেছেন, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা পৌঁছানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সালেয়ি টিকা দেয়ার কাজ শুরুর নির্দিষ্ট দিনক্ষণও জানান। ডিসেম্বরের ১১/১২ তারিখ থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ফাইজারের টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এফডিএ’র ভ্যাকসিন উপদেষ্টারা ১০ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবেন।

সালোয়ি জানান, ডিসেম্বরেই প্রায় ২ কোটি লোককে টিকা দেওয়া হবে। এরপর প্রতি মাসে ৩ কোটি লোককে পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় নেওয়া হবে।

এদিকে বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মারা গেছে আড়াই লাখেরও বেশি লোক।

এস এ /এডিবি