নওগাঁর আত্রাইয়ে গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উচ্চমূল্যে খড় কিনে গোখাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। এতে হাজার হাজার কৃষক ও গোখামারি হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে গোখাদ্য সংকটের কারনে গরু-ছাগল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা যায়, চলতি বছর পর পর দুইবার ভয়াবহ বন্যায় আত্রাইয়ের কোন মাঠে আমন ধানের চাষ হয়নি। অন্যান্যবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হতো। এর মধ্যে মনিয়ারী, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমান জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়। আর এসব ধানের খড় এলাকার গোখাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশে অন্যান্য জেলায় এ খড় বিক্রি করা হতো।
কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যায় আমন ধানের চাষ না হওয়ায় গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে জেলার যেসব থানায় আমন ধানের চাষ হয়েছে ওই এলাকা থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে খড় কিনতে হচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে গোখাদ্য বিক্রেতারা ভ্যানে করে গোখাদ্য নিয়ে হাজির হন উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ ব্রিজে। আর মুহুর্তের মধ্যেই এগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
খড় বিক্রি করতে আসা রাণীনগরের জলকৈ গ্রামের ইদ্রিস আলী ও উজলপুর গ্রামের কেরামত আলী বলেন, আত্রাইয়ে গোখাদ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য আমরা প্রতিদিন সকালে খড়বোঝাই ভ্যান নিয়ে এখানে আসি। রাণীনগর এলাকায় আমন ধানের চাষ হওয়ায় সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান খড় পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ওই এলাকার কৃষকের কাছ থেকে খড় কিনে এখানে নিয়ে আসি। প্রতি ভ্যান খড় ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।
আত্রাই উপজেলার জামগ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, আমন ধানের খড়ের উপর ভরসা করে আমরা ইরি বোরো ধানের খড় ওই সময় বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সকল ভরসা ম্লান হয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যায়। না পেলাম ধান, না পেলাম খড়।
শাহাগোলা গ্রামের সোহেল হোসেন বলেন, যে খড় আগে কিনতাম ৫০০ টাকায় সেই খড় এবার কিনতে হচ্ছে ২৫০০ টাকায়।
সিবি/এডিবি