ন্যাভিগেশন মেনু

যেভাবে এলো ঘূর্ণিঝড়ের ‘যশ’ এর নাম


পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে গভীর নিম্নচাপটি। যার নাম দেওয়া হয়েছে যশ (Yaas)।

আগামী ২৬ মে বুধবার ভারতে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সেটি ভারতের পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

কিন্তু কীভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'যশ' হলো?

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, যে মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলি সেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় এই পদ্ধতি শুরু হয়। সেই থেকে বিশ্বে ১১টি প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে।

২০০০ সালে ওমানের মাসকাটে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (WMO/ESCAP) ২৭তম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপত্তি হওয়া সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে রাজি হয়েছিল সংগঠনটি।

সেইমতো ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। সে সময় আটটি দেশ নামের পরামর্শ দিতো। পরবর্তীতে সেই সংগঠনে আরও পাঁচটি দেশ যোগ দেয়। 

বর্তমানে ওই সংগঠনের ১৩টি দেশ হলো - বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।

এবার 'যশ' এর নামকরণ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। 'যশ' হলো একধরনের গাছ, যার গন্ধ আছে। ইংরেজিতে যার অর্থ জুঁইয়ের কাছাকাছি।

এডিবি/