ন্যাভিগেশন মেনু

যেভাবে এল বিশ্ব ভালবাসা দিবস


ওমায়ের আহম্মেদ:  প্রতি বছর বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ১৪ ফেব্রুয়ারী ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছেন।

আপনিও তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকতে পারেন যারা এই দিবসটিকে ভালোবাসার বাৎসরিক উৎসব হিসেবেই উদযাপন করে থাকেন।

কিন্তু আসলেই আমরা কতটুকু জানি এই ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে? ঠিক কবে থেকে আর কিসের জন্য এই দিবস চালু হলো তা নিয়ে আছে অনেক চমকপ্রদ আর মজার তথ্য:

উৎপত্তি

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কোথা থেকে এলো এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

যিশু খ্রিস্টের জন্মের আরো ৬০০ বছরের কথা। সেই সময় প্যাগান এক সম্প্রদায় 'লুপারসিলা' নামক একটি উৎসব উদযাপন করতো।

সেই উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিলো নারীদের বন্ধ্যাত্ব দূর করা। শূকর, গরু কিংবা ছাগল উৎসর্গ করে তাদের রক্ত নারীদের গায়ে মাখানো হতো।

পরবর্তীতে একটি বাক্সে সেসব নারীর নাম লিখে লিখে তাদের পুরুষ সঙ্গী বেছে নেওয়া হতো। সেই উৎসব থেকেই আসে আজকের ভ্যালেন্টাইনন্স ডে।

তবে অনেকের মতো, ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র গোড়াপত্তন তারও অনেক পরে। ৩য় শতাব্দীর দিকে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্সের ফাঁসির জের ধরে শুরু হয় এই দিবস।

রোমান রাজা দ্বিতীয় ক্লদিয়াসের সময়ে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স গোপনে কিছু খ্রিস্টানকে পালাতে সাহায্য করেন।

পাশাপাশি কিছু খ্রিস্টান যুগলকে বিয়েও করিয়ে দেন। আর এই ঘটনা জানতে পেরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্সকে হত্যা করেন রাজা ক্লদিয়াস।

সেই থেকে ভ্যালেন্টাইন্সের সম্মানার্থে ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকরা হয় 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে'।

'জুলিয়েটেরকাছে চিঠি: 

প্রতি বছর এই দিনটিতে হাজার হাজার মানুষ তাদের ভালবাসার মানুষকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখে থাকেন।

তবে মজার ব্যাপার হলো, অনেকেই নিজের প্রিয় মানুষটির কাছে চিঠিটি না পাঠিয়ে পাঠান ইতালির ভেরোনাতে। শেক্সপিয়ারের কালজয়ী প্রেমের উপন্যাস 'রোমিও-জুলিয়েট' এর সম্মানার্থে ভেরোনার একটি স্থান আছে জুলিয়েটের নামে।

সেখানে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি হাজার হাজার চিঠি এসে জমা হয়। জুলিয়েট ক্লাবের কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষ প্রতিটি চিঠির উত্তরই দেন যত্ন সহকারে।

এমনকি প্রতি বছর সবচেয়ে মর্মস্পর্শী চিঠিকে দেওয়া হয় 'কারা গুইলেইটা' (ডিয়ার জুলিয়েট) নামক একটি পুরষ্কার। চাইলে আপনিও পারেন সেই পুরষ্কারটি বাগিয়ে নিতে।

ভিন্ন আয়োজনে ভালোবাসা দিবস উদযাপন: 

পৃথিবীর অনেক দেশেই ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবস একটু ভিন্ন ভাবে উদযাপনকরে।

যেমন, ফিনল্যান্ড এই ১৪ ফেব্রুয়ারী বন্ধু দিবস হিসেবে উদযাপনকরে। তারা এই দিন প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না করে প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে উৎযাপন করে। আর আপনি যদি এই দিনে একাকী বা সিঙ্গেল থাকেন তবে আপনিও অনেকের মত সিঙ্গেল এওয়ারনেস ডে উদযাপনকরতে পারেন।

ওআ / এস এস