ন্যাভিগেশন মেনু

যে প্রশ্নগুলো প্রেমিককে কখনোই করা উচিত নয়


ভালোবাসা কখনোই একপাক্ষিক হয়ে টিকে থাকেনা। দুজন মানুষের ভালোলাগা, ভালোবাসা, আগ্রহ, বিশ্বাস আর যত্নেই গড়ে ওঠে সম্পর্কটি। প্রিয় মানুষটি বিব্রত হতে পারেন, বিশেষ করে তার আগের সম্পর্ক নিয়ে কোনো কিছু জানতে চাইলে হিসাব করেই কথা বলা প্রয়োজন।

ছেলেরা সাধারণত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে খুবই অপছন্দ করে। কিছু প্রশ্নে তারা অস্বস্তি অনুভব করে এবং মাঝেমধ্যে বিরক্তও হয়।

চলুন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন প্রশ্নগুলো প্রেমিককে না করাই ভালো :

তোমার সাবেক প্রেমিকা কি খুব সুন্দরী ছিল?

সব ধরনের কথা প্রেমিকের সঙ্গে বললেও সাবেক প্রেমিকাকে নিয়ে কথা না বলাই ভালো। আর এ ধরনের প্রশ্ন তো একেবারেই না।

তোমার বেতন কত?

সম্পর্ক গাঢ় হওয়ার আগেই যদি তার বেতন সম্বন্ধে আপনি জানতে চান, তাহলে সে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। কারণ এ প্রশ্ন শুনলে সে ভাববে, আপনি তার অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ চিন্তা করছেন।

আমি কি তোমার সাবেক প্রেমিকার থেকে বেশি সুন্দরী?

এই প্রশ্নটার মানে আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রত্যেক ছেলের কাছে সৌন্দর্যের মানে আলাদা। আর সে কখনোই অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে আপনার তুলনা করতে চাইবে না। যেহেতু আপনার সঙ্গেই সে সম্পর্কে জড়িয়েছে, এর মানে আপনার মধ্যে নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু রয়েছে।

আমি কি মোটা হয়ে যাচ্ছি?

আপনি জিরো ফিগারের থাকলেও সে আপনাকে ভালোবাসবে আর মোটা হলেও আপনার প্রতি তার ভালোবাসার ঘাটতি হবে না। তাই অযথা এ প্রশ্ন করবেন না।

আমাকে সত্য বলছো তো?

এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা আপনার সম্পর্কের পক্ষে ভালো করার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। প্রথমত, এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনি সম্ভবত নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে আস্থার কমতি রয়েছে। দ্বিতীয়ত, সঙ্গীর উত্তরের ওপর আপনি বিশ্বাস রাখতে পারবেন, এটাও বোঝা যাচ্ছে না। বরং এখানে একটা ছোট লড়াই শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

আমি যদি দেখতে খারাপ হতামতাহলে কি তুমি আমাকে ভালোবাসতে?

এমন প্রশ্ন কেন করবেন, যার কোনো ভিত্তি নেই? এ প্রশ্নের উত্তর কী হলে আপনি খুশি হতেন বলুন? ছেলেটি যে আপনাকে খুশি করার জন্য উত্তর দেবে না, এর কোনো গ্যারান্টি আছে? তাই সামান্য খুশি হওয়ার জন্য এ ধরনের প্রশ্ন না করাই ভালো।

সব সময় কেন ভুল করো

মনে রাখবেন, কোনো কিছু আপনার পছন্দমতো না হলেই সঙ্গীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেবেন না।  দোষ দেয়ার প্রবণতা আপনার সম্পর্কের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর। এতে করে তাকে অপমান করা হয়। 

ওআ/