ন্যাভিগেশন মেনু

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চুল কেটে নিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাঁদনী খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন ও চুল কেটে নেয়েছে স্বামী ও তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সদর মডেল থানায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

গৃহবধূ মোসা. চাঁদনী খাতুন মহারাজপুর পিয়নপাড়া এলাকার মো. এমরাজ শেখের মেয়ে।

মামলার নথি ও চাঁদনীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সম্মতিতে গত ৫ বছর আগে চাঁদনীর সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের ইসরাফিল শেখের ছেলে মো. রবিউল ইসলামের (৩৫)।

বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকা দাবিতে চাঁদনীকে ও তার পরিবারকে চাপ দিতে থাকে রবিউল ও তার পরিবারের লোকজন। বিয়ের ১ বছর পর ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রবিউল এবং তার বাবা ইসরাফিল শেখ ও মা জাইলী বেগম। এরপর মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে ৫০ হাজার টাকা দেয় চাঁদনীর বাবা-মা। দাবির বাকি দেড় লাখ টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে স্বামী রবিউল ইসলাম।

নির্যাতনের শিকার চাঁদনী খাতুন দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, 'বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে টাকার দাবিতে রাতে মাদকাসক্ত হয়ে বাসায় ফিরে মারধর করতো স্বামী রবিউল ইসলাম। নির্যাতনের কারনে দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করি। গত বুধবার শ্বশুরবাড়িতে গেলে সারাদিন নানা কথা শোনায় শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী। আমার দিনমজুর বাবার পক্ষে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব নয় জানালে এদিন বিকেলে শ্বশুর-শাশুড়ির যোগসাজশে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে অপমান ও লাঞ্ছিত করতে কাঁচি দিয়ে চুল কেটে নেয় স্বামী রবিউল ইসলাম।'

চাঁদনী আরও জানায়, এমন অমানবিক নির্যাতনের পর বাবার বাসায় চলে এসেছি। এমন মারধর ও নির্যাতনের বিচার চাই।

সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা নেওয়া হয়েছে। পরে রবিউলের মা জইলী বেগমকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

এস এ /এডিবি